ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। রেললাইনে উঠে যাওয়া একটি অটোরিকশাকে জামালপুরগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দিলে তারা কাটা পড়েন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর পঁচাপুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহ সদরের উজান বাড়েরা গ্রামের আবদুর রহমান (৬২) ও তার ভাতিজি শেফালি আক্তার (৪৫)। তারা বিয়ের কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর ট্রেনটি আটকা পড়ায় জামালপুর-ময়মনসিংহ রুটের ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১২টায় ট্রেনটি জমালপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আবদুর রহমানের ভাই হাবিবুর রহমান জানান, ভাগ্নের বিয়ের কেনাকাটা করতে শেফালিকে নিয়ে শহরে গিয়েছিলেন আবদুর রহমান। জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরলে রাতেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের আর বাড়ি ফেরা হয়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে জামালপুরগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ জংশন অতিক্রম করে জামালপুরের দিকে যাচ্ছিল। জংশনের কাছাকাছি এলাকায় মিন্টু কলেজ ও নতুন বাজার রেলক্রসিংয়ের মাঝে পঁচা পুকুরপাড় এলাকায় ক্রসিংয়ে ট্রেনটি একটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়।
এ সময় ট্রেনটি অটোরিকশার ২ যাত্রীকে প্রায় একশ গজ টেনে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নারী ও পুরুষের মৃত্যু হয়।
ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলেই একজন নারী ও পুরুষ মারা গেছেন।
তার দাবি, রেলক্রসিংটিতে গেটম্যান পাওয়া যায়নি। তবে রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের পরিদর্শক মো. শাহীনূর ইসলাম বলেন, ক্রসিংয়ে গেটম্যান ছিল।
শাহীনূর ইসলাম সমকালকে বলেন, ক্রসিংটিতে গেটম্যান ছিল, ক্রসিংও পড়েছিল। কিন্তু অটোরিকশাটি গেট ভেদ করে রেললাইনে ঢুকে যাওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনটি রেলক্রসিংয়ের কাছাকাছি চলে এলেও সেখানে গেট ফালানো ছিল না। দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি করে গেট ফালানো হয়।
খুলনা গেজেট/এইচ