দক্ষিণী তারকা হলেও সিদ্ধার্থের গুনমুগ্ধের সংখ্যা গোটা ভারতে কম নয়। ‘রং দে বাসন্তী’তে অভিনেতার অভিনয় দেখেই প্রেমে পড়েছিলেন সিনেপ্রেমীরা। যেকোনো রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক ইস্যুতেও স্পষ্টভাবে কথা বলতে পিছপা হন না সিদ্ধার্থ। এবার সেই অভিনেতাকেই কিনা মাদুরাই বিমানবন্দরে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হলো। শুধু তাই নয়, সেখানকার কর্মীদের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণের অভিযোগও তুললেন সিদ্ধার্থ।
গোটা ঘটনাটা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সিদ্ধার্থ জানান, মাদুরাই বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা অভিনেতার পরিবারের গুরুজনদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন। কেড়ে নেওয়া হয়েছে তার মায়ের পার্স। এমনকি অভিনেতার বোনের ওপর চিৎকারও করেছেন সেখানকার কর্তব্যরত কর্মীরা।
কিছুক্ষণ ধরে ওই অভব্য আচরণ চলার পর কোনো এক সিআইএসএফ কর্মী সিদ্ধার্থকে দেখে চিনতে পারেন এবং ছেড়ে দেন। অভিনেতার কথায়, ‘আমার জায়গায় সেদিন যে কেউ হলে প্রচণ্ড রেগে যেতেন। আমার পরিবারকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনজন বয়স্ক, ২জন বাচ্চা, এবং আমরা কজন মাঝবয়সী। বিমানবন্দর ফাঁকাই ছিল। বোর্ডিং টাইমের আগে আমরা নির্দেশিকা অনুযায়ী চেকিং করাতে যাই। সেই লাইনও ফাঁকাই ছিল। আর আমরা কজন যাত্রীই সিরিউরিটি চেকিং লাইনে ছিলাম। বিভৎস অভিজ্ঞতা হয়।’
কী ঘটেছিল? সেকথাই বললেন অভিনেতা সিদ্ধার্থ। ‘এক নিরাপত্তাকর্মী আমাদের সকলের পাসপোর্ট আর আধার কার্ড নেন। সেটা দেখে আমায় চিৎকার করে জিজ্ঞেস করেন, এটা তুমি নাকি? আমি যখন হ্যাঁ বললাম, তখন তিনি বলেন, তার সন্দেহ আছে। পরের কর্মীই চিৎকার করে আমাদের জিজ্ঞেস করেন যে, আরে হিন্দি বোঝেন তো? তার পাশাপাশি আমাদের আইপ্যাড, ফোন ছুঁড়ে ছুঁড়ে রাখতে থাকেন। আমার কান থেকে হেডফোন নিয়ে ট্রে-তে ছুঁড়ে ফেলেন। আমি যখন বলি যে এর আগে অনেক বিমানবন্দরে আমাদের ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র চুরি গিয়েছে, উনি তখন বলেন- এটা মাদুরাই। আর এটা এখানকার নিয়ম।’
“শুধু তাই নয়, আমাদের টিমের এক বাচ্চার ইঞ্জেকশন নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশ্যেই কথা বলা শুরু করেন। এভাবে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য সবার সামনে আলোচনা করা কোন সভ্যতা?”, প্রশ্ন সিদ্ধার্থের। ২০ মিনিট ধরে বিমানবন্দরে এমন হয়রানির শিকার হতে হয় অভিনতাকে।