আগামী শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নগরীর দুটিস্থানে বিভাগীয় জনসভা করার জন্য অনুমতি চাইবে খুলনা বিএনপি। নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বর ও শহীদ হাদিস পার্কে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে সিটি কর্পোরেশনের কাছে আবেদন করবে। তাছাড়া সমাবেশ সফল করতে ১৪টি উপ কমিটি গঠনসহ নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করেছে দলটি।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের দমন-পীড়ন ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে, নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, বিদ্যুৎ এবং নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফলের প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মহানগর ও জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল।
সভায় আজিজুর বার হেলাল বলেন, সকল বাঁধা বিপত্তি, হুমকি, ধামকি, অপপ্রচার, গুজব, আতংক, প্রতিবন্ধকতাকে মোকাবেলা করে সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকাল ৩টায় খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে হবে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড.শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, কেন্দ্রীয় সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপু। বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খান, তারিকুল ইসলাম জহীর,আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, জুলফিকার আলী জুলু, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মোস্তফাউল বারী লাভলু, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, শেখ তৈয়েবুর রহমান, শামসুল আলম পিন্টু, এনামুল হক সজল, শেখ জাহিদুল ইসলাম, শাহিনুল ইসলাম পাখি, বেগ তানভিরুল আযম, চৌধুরি কাওসার আলী, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, কে এম হুমায়ুন কবির, ডা, আব্দুল মজিদ, সাজ্জাত হোসেন তোতন, কাজী মিজানুর রহমান, এস এম মুর্শিদুর রহমান লিটন, অ্যাডভোকেট তেীহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার, একরামুল কবির মিল্টন, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, জহর মীর, আহসান উল্লাহ বুলবুল, এড. মোহাম্মাদ আলী বাবু, রফিকুল ইসলাম বাবু, নাজমুস সাকিব পিন্টু, নাসির খান, আব্দুস সালাম, তারিকুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, মো. জাহিদ হোসেন জাহিদ, আলী আক্কাস, মুজিবর রহমান, শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু, সামছুল বারী পান্না, মোল্লা সাইফুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম লিটন, আসাদুজ্জামান আসাদ, এমদাদ হোসেন, শাহ মো. জালাল, কে এম মাহবুবুল আলম, মোল্লা সালাউদ্দিন বুলবুল, লিটন খান, এড. তাসলিমা খাতুন ছন্দা,
আবদুল মান্নান মিস্ত্রি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, আক্তারুজ্জামান সজিব তালুকদার, আবু সাঈদ শেখ, মহিলা দলের অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতেমা আমিন, আতাউর রহমান রুনু, ওহিদুজ্জামান হাওলাদার, ইউসুফ মোল্লা, মোনতাসির আল মামুন, মোল্লা কবির হোসেন, ইলিয়াস হোসেন মল্লিক, আরিফুর রহমান, খন্দকার ফারুক হোসেন, সরোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন, রশিউর রহমান রুবেল, সেয়দ ইমরান, সাজ্জাত হোসেন জিতু প্রমুখ।
হেলাল আরো বলেন. আওয়ামী লীগ নেতারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে সমালোচনা করেন। অথচ বাংলাদেশ টিকে আছে জিয়াউর রহমানের অবদানের উপর। শেখ মুজিব বাকশাল করে আওয়ামী লীগকে কবর দিয়েছিলেন। পরে জিয়াউর রহমানই আওয়ামী লীগের অনুমোদন দিয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শেখ হাসিনা ও তার নেতাদের আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন । অবৈধ নিশি রাতের সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে, যেকোন সময় তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। আন্দোলনে গুণগত পরিবর্তন এসেছে। দিনে দিনে বিএনপির কর্মসূচিতে জনগনের অংশগ্রহণ বাড়ছে।
খুলনা গেজেট/কেডি