অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। শ্রীলঙ্কাভিত্তিক ডেইলি মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে তিনি দায়িত্ব বুঝে নেন।
দেশটির পাঁচবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) এই নেতা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে তাকে শপথ পড়ান। এরপর আশীর্বাদ পেতে ৭৩ বছর বয়সী রনিল ওয়ালুকারমা মন্দিরে যান।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় দেশটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার আলোচনা করেন বিক্রমাসিংহে। এরপরই জানা যায় তিনিই হচ্ছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী। ২২৫ আসন বিশিষ্ট দেশটির পার্লামেন্টে তার দলের আসন মাত্র একটি।
রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন এলএলপিপি, প্রধান বিরোধী দল এসজেপির একটি অংশ এবং কয়েকটি দল সংসদে বিক্রমাসিংহের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখানোর জন্য তাদের সমর্থন দিয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে চরম মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে, মুদ্রাস্ফীতিও আকাশছোঁয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।
এ অবস্থায় ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। এক পর্যায়ে রাজাপাকসে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।
সরকারবিরোধী আন্দোলন গত সোমবার আরও বড় রূপ ধারণ করে। সেদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনে বসা বিক্ষুব্ধদের ওপর হামলা চালায় সরকার সমর্থকরা। এতে বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে সরকারদলীয় এমপি, পুলিশ সদস্যসহ নিহত হন নয়জন। আহত হন দুই শতাধিক। আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
খুলনা গেজেট/ এস আই