সরকার ভর্তুকির ধারণা থেকে সরে আসতে চায়। শুরুতে বিদ্যুৎ ও পানিতে ভর্তুকি তুলে দেওয়া হবে। গ্রাহকের এলাকা, আয় ও পারিবারিক অবস্থান—এই তিন দিক বিবেচনা করে বিদ্যুৎ ও পানির দাম ঠিক করা হবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এমন নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও পানি সবাই ব্যবহার করেন। সবাই এর উপকারভোগী। আমি আবদুল মান্নান যেমন ব্যবহার করি, তেমনি একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীও ব্যবহার করেন। মান্নান সাহেব যে দাম দিচ্ছেন, নিম্ন আয়ের একজন লোকও সেই দাম দিচ্ছেন। এটা বাস্তবসম্মত নয়। ধীরে ধীরে ভর্তুকির ধারণা থেকে সরে আসতে হবে।’
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অন্য নির্দেশনার কথাও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এগুলো হলো রাজধানীতে উচ্চ ভবন বানালে তা যেন এয়ার ফানেলের মধ্যে না পড়ে, মহাসড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য তহবিল গঠন করতে টোল আদায় করা এবং রাস্তার পাশে জলাধার রাখা।
আজকের একনেক সভায় ৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকার ব্যয়সংবলিত ৪৪টি প্রকল্প পাস হয়। এটি এক একনেক সভায় রেকর্ডসংখ্যক প্রকল্প পাসের ঘটনা। এসব প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন হবে ৩০ হাজার ১২৩ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ৭ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, পরিকল্পনাসচিব সত্যজিৎ কর্মকার প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ এএজে