রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) গেটে আগুন দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা টেলিভিশন ভবনের ক্যান্টিন, রিসিপশন ও একটি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন বলে জানা গেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে কে বা কারা এই আগুন দিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এসময় সেখানে কিছু আন্দোলনকারীকে দেখা গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ ছিল না।
এছাড়াও ভবনের সামনে পার্কিং স্টেশনে কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
এদিকে রামপুরা পুলিশ ফাঁড়িতেও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। সেখানে অন্তত ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় আন্দোলন করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাতে একজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
নিহতের নাম দুলাল মাতবর। তিনি পেশায় ড্রাইভার। সংঘাতের সময় তিনি একটি হাইএস গাড়ি চালিয়ে ওই এলাকা পার হচ্ছিলেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ফরাজি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রুবেল হোসেন গণমাধ্যমকে নিহতের পরিচয় ও অন্যান্য তথ্য জানিয়েছেন।
নিহতের মরদেহে বুকের কাছে একটি গোল ক্ষত চিহ্নিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে এটি বুলেটের ক্ষত কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
রুবেল জানান, আহত হয়ে হাসপাতালে প্রায় ১০০ জন পুলিশ ও শিক্ষার্থী এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালের কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন।
বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২ ও ৩ নম্বর গেটের সামনের সড়কে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে