খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে
দিশেহারা পাট ব্যবসায়ীরা

বিজেএমসি’র কাছে পাওনা ২৬৫ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন (বিজেএমসি) নিকট সাধারণ পাট ব্যবসায়ী সমিতির পাওনা রয়েছে প্রায় ২৬৫ কোটি টাকা। সারাদেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলে তাদের এই পাওনা রয়েছে। এরমধ্যে খুলনা অঞ্চলের মিলগুলোর নিকট পাওনা ১৩০ কোটি টাকা, ঢাকা অঞ্চলের মিলগুলোর নিকট ৬০ কোটি টাকা এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের মিলগুলোর নিকট পাওনা ৭৫ কোটি টাকা।

সাধারণ পাট ব্যবসায়ী সমিতির (রেজি নং-১৩৮০) নেতৃবৃন্দ জানান, বিজেএমসি’র সুচনালগ্ন থেকেই রাষ্ট্রায়ত্ব জুট মিলে সুসময় ও দু:সময়ে নিয়মিত পাট সরবরাহ করে মিলের চাকা সচল রেখেছেন এই ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সম্প্রতি সরকারের সিদ্ধান্তে দেশের ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ব মিল বন্ধ হয়ে গেছে। মিল বন্ধের আগে পাট ব্যবসায়ীদের পাওনার বিষয়ে কোন ফলপ্রস্যূ আলোচনা করা হয়নি।

ব্যবসায়ীরা এ প্রতিবেদককে আরও জানান, ২০১৬ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ব জুট মিলে পাট সরবরাহতে ভূমিকা রেখেছেন বিভিন্ন এজেন্সিসহ প্রান্তিক পর্যায়ের চাষীরা। পাশাপাশি অনেক পাট ব্যবসায়ী ব্যাংকের নিকট থেকে ঋণ নিয়েও পাট সরবরাহের ব্যবসা করেছেন। সব মিলিয়ে ২৫টি মিলে ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক চাষীদের পাওনার পরিমাণ বর্তমানে প্রায় ২৬৫ কোটি টাকা। পাওনা পরিশোধ না হওয়ায় ব্যাংক ঋণ ও বিভিন্ন মোকামে ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীদের দেনার চাপে তারা দিশেহারা। বর্তমানে সমিতির এক হাজার দুই’শ ব্যবসায়ী মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

বাংলাদেশ পাট ব্যবসায়ী সমিতি খুলনার সদস্য সচিব গাজী শরিফুল ইসলাম ওহিদ খুলনা গেজেটকে বলেন, ‘ বিজেএমসি’র পাট সরবরাহকারীরা এখন পুঁজিহারা এবং সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে। যদি বিজেএমসিতে যে সকল উৎপাদিত পণ্য বর্তমানে মজুদ রয়েছে সেটা বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের পাওনা পরিশোধ সম্ভব। কিন্তু মিল বন্ধ ঘোষণার প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ২০২১-২২ অর্থ বছরের মধ্যে সকল দেনা-পাওনা পরিশোধ করা হবে। কিন্তু বর্তমানে ব্যবসায়ীরা পাওনাদারের চাপে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাট ব্যবসায়ীদের ব্যানারে স্বারকলিপি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরাও কেসিসি মেয়র এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে পাওনা টাকা প্রাপ্তির দাবিতে স্বারকলিপি দিয়েছি। প্রয়োজনে আমরা এই দাবিতে সংবাদ সম্মেলনসহ অন্যান্য কর্মসূচি গ্রহণ করবো।

খুলনা গেজেট / এনআইআর/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!