বিএনপি সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে ক্র্যাকডাউন চলছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সমগ্র দেশটাকে এখন বৃহৎ কারাগার বানিয়ে ফেলেছেন। একদিকে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে। অপরদিকে সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারে ক্র্যাকডাউন শুরু হয়েছে। এটি যেন এক মহা তামাশা।
যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে ইসির চিঠি প্রেরণও ছিল আরেকটি তামাশা। আসলে সরকার নিজেদেরকে অতি চালাক ভাবছে। সবকিছুতেই ধরাকে সরা জ্ঞান করছে সরকার।
তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদেরকে যেভাবে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাতে এটি স্পষ্ট, আগামী নির্বাচন যেনতেন প্রকারে অনুষ্ঠিত করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিতে বদ্ধপরিকর অবৈধ শাসকগোষ্ঠী। কিন্তু এবার আওয়ামী অবৈধ সরকারের এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দিবে না জনগণ। ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তারে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে এবং জনগণ আরও বলীয়ান হচ্ছে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ছাড়া জনগণ রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবে না।
শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম) ও রোববার ভোরে রাজধানীর উত্তরা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অবঃ) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং ঢাকা থেকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্সকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী।
অবিলম্বে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম), আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম