রাতের পর রাত জেগে কাজ করলে শরীরের পাশাপাশি পারিবারিক জীবনেও এর প্রভাব পড়ে। কেননা তখন ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সময় বলে আর কিছু থাকে না। তবে অনেক সময়ই কাজের চাপ থাকে ভীষণ, সে ক্ষেত্রে রাত জেগে কাজ করা ছাড়া উপায় থাকে না। সমাধান হিসেবে এটা সহজ, তবে অবশ্যই যাপিত জীবনের জন্য তা ভালো নয়।
তাই জেনে নিন কিভাবে অফিসের সময় পুরোটা কাজে লাগাবেন আর বাড়িতে কাটাতে পারবেন একদমই পারিবারিক সময়-
রুটিনমাফিক কাজ
আজকের দিনে আপনার হাতে কী কী কাজ আছে, আর কোন কাজগুলো আজই সেরে ফেলতে হবে তার একটা লিস্ট বানিয়ে রাখুন আগের রাতে। যদি হাতে অনেক কাজ জমে গিয়ে থাকে, তাহলে রাত না জেগে বরং ভোরবেলা উঠুন। সকালের দিকে আপনার এনার্জি লেভেল বেশি থাকে, আর চারপাশটাও নিরিবিলি থাকে। ফলে তখন মন দিয়ে কাজ করতে পারবেন।
আগের কাজ আগে
কোন কাজটা আগে জমা দিতে হবে, কোনটা দু’দিন পরে দিলেও চলবে, সেটা ঠিক করে নিন। এবার প্রতিটি কাজের জন্য সময় বেঁধে নিন মনে মনে এবং চেষ্টা করুন সেই সময়ের মধ্যে কাজটা শেষ করতে। তাতে অনেকটা এগিয়ে থাকতে পারবেন।
কাজ নিয়ে বসে থাকবেন না
কাজের ফাঁকে অনেকেরই একটু গেম খেলা, একটু সোশ্যাল মিডিয়া দেখার অভ্যাস থাকে।
হালকা ব্রেক নিতে একটু-আধটু এসব করতেই পারেন, কিন্তু এটাই যেন নিয়ম হয়ে না যায়! তাহলে কিন্তু সময় নষ্ট হবে আর কাজের বোঝা বাড়তেই থাকবে! সারা দিনে ওয়ার্কিং আওয়ারের মধ্যে ১৫ মিনিটের বেশি সোশ্যাল মিডিয়া বা গেমের পেছনে নষ্ট করবেন না! বরং দ্রুত কাজগুলো সেরে ফেলুন, তারপর ইচ্ছেমতো অবসর কাটান।
কঠিনগুলো আগে
কাজের নানা রকমফের হয়। কোনোটা সহজেই হয়ে যায় আবার কোনোটা করতে সময় বেশি লাগে। আবার কোনোটা শেষ করতে অন্যের সহায়তা দরকার হয়। সহজ কাজগুলো পরে করবেন, অপেক্ষাকৃত সময়সাপেক্ষ কাজ বা যে কাজ করতে অন্যের সাহায্য প্রয়োজন, সেগুলো আগে শেষ করুন।
তাতে মাথা থেকে বোঝা নেমে যাবে, সহজ কাজগুলো চটপট করে ফেলতে পারবেন।
‘না’ বলতে শিখুন
অনেক সময়ই আমাদের সহকর্মীরা নিজেদের কাজ আমাদের ওপর চাপিয়ে দেন। সব ক্ষেত্রে না বলা সম্ভব নয়, কিন্তু প্রয়োজনে অবশ্যই ‘না’ বলুন। হাতে খুব বেশি কাজের চাপ থাকলে আগে সেটাই শেষ করা আপনার দরকার, সহকর্মীকে পরেও সাহায্য করতে পারবেন!
খুলনা গেজেট/ এএজে