একটানা শুয়ে-বসে থাকা, কম্পিউটারে টানা কাজ করা, কঠোর পরিশ্রম, ফ্র্যাকচার, সংক্রমণ, টিউমারসহ বিভিন্ন কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে। ব্যাক পেইন প্রাণঘাতী কিছু না হলেও বারবার ফিরে আসায় স্বাভাবিক জীবন দুঃসহ হয়ে ওঠে।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ঈশিতা বিশ্বাস।
মোটামুটি চারটি কারণে ব্যাক পেইন বারবার ফিরে আসে। এগুলো থেকে বিরত থাকা সম্ভব হলে ব্যাক পেইনমুক্ত থাকা যায়;
১. ওবেসিটি বা বেশি ওজন: শরীরের ওজন অনেক বেশি হলে ব্যাক পেইন হতে পারে এবং তা বারবার ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি। ইদানিং ওবেসিটি মহামারী হিসেবে হাজির হয়েছে। উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের ভারসাম্য থাকা জরুরি। কারও ওজন বেশি থাকলে দেরি না করে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এজন্য শরীর চর্চা ও সঠিক ডায়েট ফলো করা উচিত।
২. ম্যাট পোশ্চার: আমরা অনেক সময় ঝুঁকে কাজ করে থাকি। অনেকক্ষণ ধরে কম্পিউটার, ল্যাপটপে অথবা মোবাইল ফোনের দিকে ঝুঁকে কাজ করি। ফলে আমাদের পেছনেন মাংসপেশিতে টান ও চাপ লাগে। এ কারণে ব্যাক পেইন বারবার ফিরে আসে। ফলে সুস্থ জীবন কাটাতে হল অবশ্যই পোশ্চার মেনে চলতে হবে। মেরুদণ্ড সোজা করে বসে কাজ করতে হবে।
৩, ভারী বস্তু তোলা: ভারী বস্তু কীভাবে তুলতে হবে, তা সবার জানা দরকার। কারণ ভুল কৌশলে ভারী জিনিস তোলার কারণে অনেকের ব্যাপক পেইন হয়ে থাকে। কোনো জিনিস নিচ থেকে তোলার সময় ঠাস করে ঝুঁকে না গিয়ে প্রথমে হাঁটু গেড়ে বসতে হবে। তারপর জিনিসটি তুলতে হবে।
৪. মাসল বা ব্যাক স্ট্রেটেনিং এক্সারসাইজ: আমাদের পেছনের মাংসপেশি যেন শক্তভাবে কাজ করতে পারে, সেজন্য নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে। এজন্য ফিজিওথেরাপিস্টের সহায়তা নিতে হবে। এখন ইউটিউবেও এই শরীর চর্চার নানা কৌশল পাওয়া যায়। এগুলো অনুসরণ করতে ব্যাক পেইন থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
মোটা দাগে এই চারটি অভ্যাস আপনি আপনার জীবনে করে ফেলতে পারলে একিউট মেকানিক্যাল ব্যাপক পেইন থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আশার কথা হলো মেকানিক্যাল ব্যাক পেইনে কোনো ক্ষতি নেই বা দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কোনো চিকিৎসকের সহায়তা নিলে এটি সাধারণত নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়।
সূত্র: ডক্টর টিভি