বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ক্ষেত থেকে পাকা ধান কেটে বাড়িতে আনতে ব্যস্ত কৃষক। কিন্তু ধান কাটার শ্রমিক (কামলা) নিয়ে চাষিরা মহাবিপাকে পড়েছেন। ধান কাটার কামলার মুজরি আকাশ ছোঁয়া। এখানে চাহিদার উপর ভিত্তি করে সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একজন কামলার মুজরি ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত। এরপর আবার শ্রমিককে ২ থেকে ৩ বেলা খাবার দিতে হয়। তাই এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হলেও অনেক চাষির মুখ ম্লান। তারা এখন চেয়ে আছেন ধানে ন্যায্য মূল্যের দিকে।
ধান চাষিদের অভিযোগ, সরকারি গোডাউনে ধান বিক্রিতে তাঁদের নানা জটিলতা পোহাতে হয়। অথচ লাভবান হয় মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা।
স্থানীয় কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২১টি ব্লকে ৩০ হাজার একর জমিতে উফশি, হাইব্রিড উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে এবার বোরো ধান রোপন করা হয়। উপজেলা কৃষি বিভাগের ধারনা ধানের যে আবাদ করা হয়েছে তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী ফলন পাবে কৃষকরা।
উপজেলার সাবোখালী গ্রামের লিটন হালদার, শ্রীরামপুর গ্রামের গোপাল বালা, দেব ভক্ত, উত্তম বাড়ৈ, বড়বাড়িয়া গ্রামের রিপন মোল্লা, নাসির মোল্লা, হিরমন মাঝি, নাসির মিয়া, বিনয় মন্ডলসহ অনেকে জানান, চলতি বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের হলেও তাদের মুখ ম্লান। কারণ একদিকে আকাশে মেঘের তাড়া ও শীলাবৃষ্টির ভয় অন্যদিকে ধান কাটার শ্রমিকের আকাশ ছোঁয়া মুজরি। তাই উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে তাদের লোকসান হতে পারে। তাছাড়া সরকারি গোডাউনে তাদের ধান বিক্রিতে নানা জটিলতা পোহাতে হয়। অথচ লাভবান হয় মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা।
চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সিফাত-আল-মারুফ বলেন, ‘চলতি মৌসুমে বারো ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছি। ফলন আশানুরূপ হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠের ৭০ ভাগ ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। এ বছর ধান কাটার শ্রমিকের মুজরি অনেক বেশী। তাছাড়া ধান বিক্রিতে তাদের নানা জটিলতা রয়েছে। তারা যাতে ন্যায্যমূল্য সে জন্য আমি সজাগ দৃষ্টি রাখছি।
খুলনা গেজেট/এইচ