বেশ জমে উঠেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন। নির্বাচনী আমেজে কাদা ছোঁড়াছুড়িও শুরু হয়েছে। এ কারণেই সতর্ক নির্বাচন কমিশন। ভোট সামনে রেখে সতর্কতার অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন বাফুফে ভবনকে নির্বাচনী প্রচারণামুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। সামনের ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাফুফে নির্বাচন। তার আগেই দুই পক্ষ প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত। আগেই নিশ্চিত হয়েছে এবার লড়ছে কাজী মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ এবং শেখ মোহাম্মদ আসলামের নেতৃত্বাধীন সমন্বিত পরিষদ।
হাতে বেশি সময় নেই। এ অবস্থায় কাউন্সিলর মানে ভোটের মন জয় করতে প্রার্থীরা ব্যস্ত থাকছেন। টানা চতুর্থ মেয়াদে সভাপতি হতে লড়ছেন কাজী সালাউদ্দিন। তিনি ইশতেহার ঘোষণার পর থেকেই ব্যস্ত নির্বাচনী প্রচারণায়। রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মঙ্গলবার ক্লাবের ভোটারদের সঙ্গে বসেন এই প্যানেলের কাজী সালাউদ্দিন-সালাম মুর্শেদীরা। বুধবার জেলার ভোটারদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন তারা।
অন্য দিকে আরেক প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আসলাম তার প্যানেলের সঙ্গে বসেছেন। বুধবার সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল পরিচিতি ও ইশতেহার ঘোষণার কথা থাকলেও কিছুটা পেছাল। ১ অক্টোবর প্যানেল পরিচিতি ও নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠান করবেন তিনি।
তার আগে সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় বুধবার একটি নোটিশ ইস্যু করেছে নির্বাচক কমিশন। বাফুফে ভবনে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সকল প্রার্থীকে।
কমিশন প্রধান মেজবাহ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয় এমন কোনো কার্যকলাপ না করতে সকল প্রার্থীকে অনুরোধ জানাচ্ছি আমরা। এমন কিছু ঘটলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খুলনা গেজেট/এএমআর