বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনে দুই সভাপতি প্রার্থী আগেই নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। সম্মিলিত পরিষদ থেকে বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন। এবার নির্বাচনের দুই দিন আগে (বৃহস্পতিবার) ‘সভাপতিবিহীন’ সমন্বয় পরিষদ ঘোষণা করলো ২৪ দফা নির্বাচনি ইশতেহার।
আজ স্থানীয় এক হোটেলে ঘোষণা করা ১৯ সদস্যের প্যানেলে সভাপতি ছাড়াও নেই একজন সহ-সভাপতি প্রার্থী। বাকি সব পদে প্রার্থী দিয়েছে শেখ মোহাম্মদ আসলাম-মহিউদ্দিন মহিদের গড়া সমন্বয় পরিষদ। সভাপতি ছাড়া প্যানেল দেওয়ার কারণ্ ব্যাখ্যায় সহ-সভাপতি প্রার্থী মহিউদ্দিন মহি বলেছেন, ‘আমরা সভাপতি পদটি খালি রেখেছি। কাউকে সমর্থন করছি না। আমরা মনে করি, নির্বাচনে যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসতে পারি তাহলে কাজ করার সুযোগ থাকবে। তখন সভাপতি এককভাবে কিছু করতে পারবে না। তাই আমরা এখানে সভাপতি পদটি উন্মুক্ত রেখেছি। ১৯ জনের বাইরে আমাদের কোনও প্রার্থী নেই।’
তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে উল্লেখযোগ্য হিসেবে আছে- ১২ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা, জেলা ও উপজেলায় লিগ আয়োজন, বয়সভিত্তিক ফুটবল নিয়মিত করা, সোহরাওয়ার্দী ও শেরেবাংলা কাপ আয়োজন এবং পেশাদার ফুটবল লিগকে ঢেলে সাজানো।
সমন্বয় পরিষদের প্রতিশ্রুতি প্রতিটি জেলায় স্থানীয় লিগ সেরাদের নিয়ে শহীদ শেখ রাসেলের নামে জাতীয় ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের। এছাড়া আন্ত:স্কুল ও কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিযোগিতার কথাও উল্লেখ আছে ইশতেহারে।
আরও রয়েছে সারাদেশের ক্লাবগুলোকে আর্থিক সাহায্য, অফিস ও করপোরেট লিগ আয়োজন, জাতীয় দলের জন্য ৪, ৮ ও ১২ বছর মেয়াদি বাস্তব সম্মত পরিকল্পনা প্রণয়ন, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ও খেলোয়াড়দের ইন্স্যুরেন্স পলিসির মধ্যে আনা।
এই প্যানেলের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আগামী চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে শিরোপা প্রত্যাশী দল হিসেবে গড়ে তোলা, যেখানে মূল লক্ষ্য থাকবে সাফ ফুটবলে সাফল্য। এছাড়া ভালো দল নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও শেখ কামাল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চায় তারা।
মেয়েদের ফুটবল লিগ নিয়েও রয়েছে আলাদা পরিকল্পনা। বয়সভিত্তিক দল ও জাতীয় দল আলাদা করে গঠনের উদ্যোগের পাশাপাশি জিম স্থাপন ও প্রতি বছর বার্ষিক সাধারণ সভা করে সবকিছু সবাইকে জানানোর কথা বলা হয়েছে।
সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আসলাম তাদের প্যানেল নিয়ে আশাবাদী, ‘আমাদের প্যানেলে যারা আছেন তারা পরীক্ষিত সৈনিক। জেলা-বিভাগ ও ক্লাবের প্রতিনিধিরা আছেন। আগেও তারা পাস করে এসেছেন। এবারও আশা করছি জিতবেন।’
খুলনা গেজেট/এএমআর