বাজার সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরকার দলীয় লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরাস্থ একটি রেস্টুরেন্টে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।
রেজাউল করীম বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, খেলাপি ঋণ ও বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফেরত আনার ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ, ডলার সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করছে। দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ সরকার দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরকার দলীয় লোকজন জড়িত। এজন্য সিন্ডিকেট দিন দিন মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধসহ দেশের অর্থনৈতিক ও জনজীবনের সংকট দূর করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রহসনের ডামি নির্বাচনের পর ডামি সরকার দেশে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করেছে। এ অবস্থা বহাল রেখে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। এ অবস্থা থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করতে হলে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি (পিআর) প্রবর্তনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার, প্রহসনের ডামি নির্বাচন বাতিল করে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সময়ের অনিবার্য দাবি।
চরমোনাই পীর বলেন, শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তা চেতনা বাদ দিয়ে ৫ ভাগ মানুষের চিন্তা চেতনা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। আর ইসলামী স্কলারদের সমন্বয়ে সিলেবাস কমিটি গঠনের মাধ্যমে সিলেবাস পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় ইসলামপন্থি জনতা আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় নগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মুফতি ওয়াহিদুল আলম, আবু জাফর আলম, মাওলানা আব্দুল জাব্বার, মো. আলমগীর হোসেন, আলাউদ্দিন, মুফতী নূরে আলম, আবু সিয়াম, শাহ আলম মোল্লা প্রমুখ।
খুলনা গেজেট / এএজে