খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে

বাঘের সাথে লড়াইয়ে বেঁচে ফিরলেন মোংলার সালেহ

ওয়াসিম আরমান, মোংলা

সুন্দরবনের বাঘের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে জীবন নিয়ে বাড়ি ফিরলেন মোংলার জেলে সালেহ আকন। আহত হলেও সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। আহত জেলে মোঃ সালেন আকন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের মৃত আমীর আলি আকনের ছেলে। 

সুন্দরবনের খালে মাছ ধরতে গিয়ে রবিবার(১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে সাতটায় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি।  এসময় তিনি সাহসকে পুঁজি করে বাঘের সাথে মরণ প্রান যুদ্ধে করেন। সক্ষম হয়েছেন প্রাণে নিয়ে বাড়ি ফিরতে।

ভিকটিমের চাচাতো ভাই ইসা আকন জানান বলেন, ভাই আজ সকালে সুন্দরবনের খালে মাছ ধরতে গেলে বাঘের আক্রমণের শিকার হন। সে রক্তাক্ত অবস্তায় বাঘের সাথে যুদ্ধকরে বাড়ি ফিরলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

আহত সালেহ আকন খুলনা গেজেটকে জানান, সকালে সুন্দরবনের ছোট খালে মাছ ধরতে গেলে সেখানে তেমন একটা মাছের দেখা না পেলে জঙ্গলের ভিতরে শুয়ার মারা খালের ভিতর মাছ ধরার জন্য জালপাতি। সেখানে কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ করে পিছন থেকে বিকট শব্দে বাঘ আমার উপর আক্রমণ করে খালের কাদা মাটিতে চেপে ধরার চেস্টাকরে। আমি উল্টো দিকে ফিরে বাঘের আক্রমণ প্রতিহত করার চেস্টা করলে সে আমার হাতে কামড় বসিয়ে দেয়। বাঘের সাথে প্রায় ৫/৭ মিনিট ধস্তাধস্তির পর সে আমাকে ছেড়ে উপরে উঠে দাড়ায় আবার আক্রমণ করার জন্য। তখন আমি আমার কাছে থাকা দাঁ এবং লাঠি নিয়ে তাকে ভয় দেখানোর চেস্টা করলে সে জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে যায়। বাঘটি প্রায় সাত থেকে আট লম্বা ছিলো।

তিনি আরও জানান আমি প্রায় ২৫/৩০ বছর জঙ্গলের খালে মাছ ধরি। এর আগে অনেকবার দূর থেকে জঙ্গলের বাঘ দেখলেও এবারই জীবনে প্রথম সরাসরি বাঘের মুখোমুখি হয়ে তার সাথে লড়াই করে জীবন নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হলো। ওই মুহূর্তে কতটা ভয়ঙ্কর ছিল তা আমি আপনাকে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তার ফয়সাল জানান তার হাতে পিঠে এবং মাথায় বাঘের আক্রমণের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত রয়েছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!