যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মনিবাবুকে হত্যার অভিযোগে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিহতের স্ত্রী মালতী বিশ্বাস বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে এ মামলা করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম বিষয়টি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে বাঘারপাড়া থানায় মামলা আছে কিনা তা জানার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন বাঘারপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের শতদল বিশ্বাসের স্ত্রী অর্চনা রানী, অর্চনার ছেলে বিপ্লব বিশ্বাস, একই এলাকার মৃত তারক বিশ্বাসের ছেলে তাপস বিশ্বাস, খোকন অধিকারীর ছেলে রবেন অধিকারী, মৃত হিরালাল বিশ্বাসের ছেলে বিকাশ বিশ্বাস, ছোট বহরামপুর গ্রামের মৃত প্রফুল্ল রায়ের ছেলে অনিমেষ রায়, মৃত নির্মল ঘোষালের ছেলে লিটন ঘোষাল ও সুভাষ বিশ্বাসের ছেলে হরিদাশ।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ৩০ বছর আগে নিহত মনি বাবুর সাথে তার বিয়ে হয়। মনি বাবুর ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। এর মধ্যে ২০০৫ সালে আসামি অর্চনা রাণীর সাথে মনি বাবুর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
২০০৭ সালে অর্চনা এক মেয়ে ও একছেলেসহ তার স্বামীকে রেখে মণি বাবুর কাছে চলে আসে। পরে মণি বাবু অর্চনাকে রক্ষিতা হিসেবে আশ্রয় দেয়। এর মাঝে অর্চনা মণি বাবুর সম্পত্তি লিখে নিতে নানা ধরণের চাপ দিতে থাকে। সাথে অর্চনার ছেলেও এ ষড়যন্ত্রে যোগ দেয়। সর্বশেষ গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের রাতে ১১ টার পর আসামিরা একত্রিত হয়ে মণি বাবুর বাড়িতে যায়। এসময় তারা মনি বাবুর গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে
পালিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় এর আগে অর্চনা বাদী হয়ে মালতি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম