বাগেরহাটে ৬১৭টি মন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশের ন্যায় বাগেরহাটের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাও ব্যস্ত তাদের শক্তির দশভূজ মা দূর্গাকে বরণ করতে। মন্ডপে মন্ডপে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি, রং-তুলি শুভ্র আঁচড়। ২১ অক্টোবর পঞ্চমী তীথিতে আক্ষরিক অর্থে এবারের দূর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ২৬ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিষর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে শারদী দূর্গা উৎসব। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারে পূজায় বাড়তি উৎসবকে পরিহার করে স্বাস্থ্য বিধি ও সরকারি নিয়ম মেনে ধর্মীয় রীতি অনুশারে পূজা আর্চণা সম্পূর্ণ করা হবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি বাবুল সরদার বলেন, বাগেরহাটের সকল মন্ডপে দূর্গা পূজার সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পূজার নিরাপত্তা ও সার্বিক বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে আমাদের একাধিক বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে এবার পূজা উপলক্ষে উৎসবকে সীমিত করা হয়েছে। তবে যথারীতি ধর্মীয় নিয়ম অনুসারে পূজা আর্চনা চলবে। সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী দশমীর সন্ধ্যায় আমাদের সকল মন্ডপের প্রতিমা বিষর্জন দেয়া হবে। এব্যাপারে সকল মন্ডপের আয়োজকদের জানানো হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মোতাবেক প্রতিটি মন্ডপে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে বলা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, দূর্গা উৎসব উপলক্ষে পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় আমাদের সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। এবার ৬১৭টি মন্ডপের জন্য আমাদের ১২০টি ভ্রাম্যমান টিম থাকবে। যারা সার্বক্ষনিক বিভিন্ন পূজা মন্ডপে টহল দিবে। প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে প্রকাশ্যে পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পূজা মন্ডপের সভাপতিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নম্বর দেয়া থাকবে যাতে কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষনিকভাবে মুঠোফোনে জানাতে পারেন। এছাড়া মন্ডপে স্বাস্থ্য বিধি মান্য করার জন্য আমরা সকল আয়োজকদের জানিয়েছি।
খুলনা গেজেট/এআইএন