খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ২৬৯/৯, পিছিয়ে ১৮১ রানে

বাগেরহাটে সিডিসি’র দাবিতে মেরিন শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

সিডিসি (কন্টিনিউয়াস ডিসচার্জ সার্টিফিকেট) এর দাবিতে বাগেরহাটে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং মেরিন টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি বাগেরহাটের একাডেমিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, মেরিন টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের ৬ষ্ঠ সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান, আমিরুল ইসলাম, সোহাগ ইসলাম, মইনুল ইসলাম নাসিম মাহমুদ শুভ, ৭ম সেমিস্টারের ফয়জুল আমিন সিফাত, ৪র্থ সেমিষ্টারের আমিন শেখ, ২য় সেমিস্টারের আল্লামা ইকবাল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন নানা তালবাহানা করে ২০১০ সাল থেকে প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরোর অধীনে পরিচালিত ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি শিক্ষার্থীদের সিডিসি বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে দেশের হাজার হাজার ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়াররা বেকার হয়ে পড়ছে। হতাশার জীবন যাপন করছে তারা। দেশের প্রথম সারির শিক্ষার্থীরাই ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হয়। কিন্তু শুধুমাত্র সিডিসির অভাবে তারা বিদেশী জাহাজে চাকুরী করতে পারে না। যদি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজে চাকুরী করতে না পারে তাহলে শিক্ষার্থীরা মেরিন ডিপ্লোমা পড়ে কি করবে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার-দের সিডিসি দেওয়া হত। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা বিদেশী জাহাজে সুনামের সাথেই চাকুরী করে আসছিল। তাদের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশের উন্নয়নে অবদান রেখেছে। কেন কার স্বার্থে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ষড়-যন্ত্রের মাধ্যমে ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার-দের সিডিসি বন্ধ করে দিয়েছে, তা আমাদের জানা নেই। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন ( আইএমও)সহ বিশ্বের অন্যান্য সকল দেশে জাহাজের ক্যাডেট হিসেবে প্রবেশের যোগ্যতা দশম শেণি। কিন্তু আমাদের কেন সিডিসি বন্ধ করে দেওয়া হল? অতিদ্রুত নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে ডিপ্লোমা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার-দের সিডিসি প্রদান না করলে আরও বড় আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষন ব্যুরোর অধীনে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি বাগেরহাটসহ সারাদেশে ৬টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি রয়েছে। এছাড়া কয়েকটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন মেরিন টেকনোলজি পড়ানো হয়।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!