বাগেরহাটের মোংলা পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিকের বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরে আহতরা মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য চিকিৎসা নিয়েছেন। মানিকের ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছে পরিবারটি। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন মোংলা পৌরসভার বিএলএস রোডের বাসিন্দা মোসাঃ শিরিন আক্তার।
তিনি বলেন, মোংলা পৌরসভার বিএলএস রোডস্থ পৈত্রিক ওয়ারেশসূত্রে পাওয়া নিজস্ব সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি। কিন্তু গেল ৫ আগস্ট মোংলা পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিকের নেতৃত্বে আজম, ডালিম, মোহন, শফিকুলসহ ৩০-৩৫জন লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের বাড়ি দখলের চেষ্টা করে। বাঁধা দিলে তারা বেপরোয়াভাবে আমাদের মারপিট করে। এতে আমার বৃদ্ধ শাশুরী রনজিনা বেগম ও স্বামী সুমন ফকির গুরুত্বর আহত হয়। আমার স্বামীর মাথা ফেটে যায়। শুধু মারপিট নয়, মানিক ও তার লোকজন আমাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. ইমরান হোসেন আমাদের উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মারধর করেও থেমে নেই, এখন আমাদের নানাভাবে হুমকী-ধামকি দিয়ে আসছে। আমরা খুবেই নিরপাত্তাহীনতায় ভুগছি। ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মোসাঃ শিরিন আক্তার আরও বলেন, মানিক বিভিন্ন সময় এলাকার মানুষকে হয়রানি করেছেন। অপকর্মের কারণে তাকে দল থেকে বহিস্কারও করা হয়েছিল।
শিরিন আক্তারের অভিযোগ অস্বীকার করে মোংলা পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য মাহবুবুর রহমান মানিক বলেন, আমি কারও জমি দখলের চেষ্টা করিনি। মারধরও করিনি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এএজে