বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তৌহিদুল ইসলাম (৪২) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হাত, পা ভাঙ্গাসহ পায়ের রগ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বৌ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৩ টার দিকে স্বজনেরা তৌহিদুলকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আহত তৌহিদুল ইসলাম রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কামলা গ্রামের আমির হোসেন ছেলে । সে বিদ্যুৎ বিভাগের ঠিকাদারি কাজ করে।
এদিকে এ ঘটনার জের ধরে বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) বেলা ৯টার দিকে কামলা বাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দু’দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহত তৌহিদুলের বাবা আামির হোসেন বলেন, গতকাল রাতে সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহানের নেতৃত্বে রফিক, হাসিব, আক্কাস ও দুইজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী আমার ছেলের উপর হামলা করেছে। আমার ছেলে রফিক, হাসিব ও আক্কাসকে চিনতে পেরেছে বলে আমাদের জানিয়েছে। তৌহিদুলের হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে, ডান পায়ের রগ কেটে দিয়েছে তারা। আমার ছেলের সাথে কারও কোন দ্বন্দ নেই। কিন্তু মেম্বারি নির্বাচনের সময় সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহানের নির্বাচন না করে মোঃ আসলাম শিকদার ছিন্টুর নির্বাচন করেছিল। যার কারণে শাহজাহান খুবই ক্ষিপ্ত ছিল। এছাড়া সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের নির্বচনী কাজ করার কারণেও শাহজাহান ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত ছিল।
তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, আমার স্বামীর অবস্থা খুবই খারাপ। যারা আমার স্বামীর উপর হামলা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলীম ঘটনার বলেন, এলাকায় দলের মধ্যে গ্রুপিং রয়েছে। দুই গ্রুপের দ্বন্দে তৌহিদুল ইসলামের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। সে দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগেরে একজন সক্রীয় কর্মী। তবে কারা কি হামলা করেছে এ বিষয়ে কিছু বলেননি এই জনপ্রতিনিধি।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মোঃ শাহজাহান হাওলাদার জানান, আহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ প্রদান করার কথা বলেছেন। তাদের দেওয়া এজাহার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়া মারধরের শিকার ব্যক্তি অনেক বেশি অসুস্থ্য যার কারণে সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
খুলনা গেজেট/ টিএ