মহাষ্টমীতে কুমারী পূজা না হলেও করোনা থেকে মুক্তির জন্য মা-দূর্গার কাছে প্রার্থণা করেছেন বাগেরহাটের ভক্তরা। শনিবার (২৪ অক্টোবর)সকাল থেকে বিভিন্ন পূজামন্ডবে পুস্পাঞ্জলীর মাধ্যমে মহাষ্টমীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ফুল-বেলপাতা,ধূপ-দ্বীপ, বিভিন্ন ফলের সমাহারে দৃষ্টিনন্দন ভোগ সাজিয়ে আরাধনা করা হচ্ছে মা দুর্গার। ফুল ও বেলপাতা হাতে মা দুর্গার পায়ে অঞ্জলী দিয়েছেন অনেকে। ঢাকের বাজনা, শঙ্খ আর উলুধ্বনীতে মুখোতির হয়ে উঠেছে পূজামন্ডপগুলো। কিন্তু ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান থাকলেও উৎসবের আমেজ নেই মন্দিরে।
শনিবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের শতবছরের প্রাচীনতম শ্রীশ্রী হরিসভা মন্দিরে দেখা যায়, স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভক্তরা পর্যায়ক্রমে পুস্পাঞ্জলী দিচ্ছেন। এসময় বৈশ্বয়িক করোনামহামারি থেকে মুক্তি পেতে ভক্তরা মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেন।
মা দূর্গাকে অঞ্জলী দান শেষে শ্রাবনী পাল, মুক্তি রানী রায়সহ কয়েকজন ভক্ত বলেন, সরকারি নির্দেশে আমরা কুমারী পূজা করিনি। তারপরও পুস্পাঞ্জলী দিয়ে মা দুর্গার কাছে গোটা পৃথিবী থেকে করোনা মাহামারি থেকে মুক্তি চেয়েছি। আমরা চাই পৃথিবী যাতে আগের মত হয়ে যায়। আমরা সবাই যাতে স্বাভাবিক চলা ফেরা করতে পারি সেই প্রার্থনা করছি।
হরিসভা দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নিলয় কুমার ভদ্র জানান, করোনার কারণে স্বাস্থ্য বিধি এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে দুর্গাপূজা অনুষ্টিত হচ্ছে। মন্দিরে প্রবেশের মুখে হ্যান্ডসেনিটাইজার এবং মুখে মাক্স বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। স্বল্প সংখ্যক করে করে দর্শনার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলায় এবছর ৬২১টি পূজামন্ডবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজামন্ডপগুলোতে টহলে রয়েছে পুলিশ। রবিবার মহানবমী এবং সোমবার দশমীতে বিসর্জণের মধ্যে দিয়ে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব শেষ হবে। এবছর মা দুর্গা দোলায় চড়ে কৈলাস থেকে মত্তলোকে এসেছেন। পাঁচ দিনের পূজা-অর্চনা শেষে গজে চড়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন মা দূর্গা।
খুলনা গেজেট/কেএম