বাগেরহাটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপসহকারী প্রকৌশলী আবু হানিফকে তাঁর কার্যালয় থেকে তুলে নিয়ে মারধর ও লঞ্চিত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার চারদিন পরে রবিবার (১৬ জুলাই) রাতে বাগেরহাট মডেল থানায় এই মামলা হয়। তবে ঘটনার দিন ১২ জুলাই রাতেই ওই প্রকৌশলী বাগেরহাট মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
মামলায় মারজান হাওলাদার, রাকেশ দাস, পরাগ হাওলাদার, সুজন ইসলামের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২জনকে আসামী করা হয়েছে। এদের মধ্যে রাকেশ দাস বাগেরহাট পৌরসভা‘র ৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি, মারজান হাওলাদার সহ-সভাপতি, সুজন ইসলাম ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতি এবং পরাগ হাওলাদার ছাত্রলীগের নেতাদের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।
অভিযোগে মারধরের শিকার প্রকৌশলী উল্লেখ করেন, ১২ জুলাই রাত ৯টার দিকে শহরের আমলাপাড়া এলাকার অফিসে কাজ করছিলেন তিনি। এসময়, মারজান হাওলাদার, রাকেশ দাস, পরাগ হাওলাদার, সুজন ইসলামসহ ১০-১২জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মোটরসাইকেলে অফিসের মধ্যে প্রবেশ করে, ঠিকাদারি কাজের টাকা পাওনা আছে, পরিশোধের জন্য তাকে হুমকি প্রদান করেন। তার টেবিলের কাছে এসে, তাকে শহরের কাঁচা বাজার সংলগ্ন বটতলা এলাকায় যেতে বলেন। প্রকৌশলী আবু হানিফ যেতে না চাইলে, তারা আবু হানিফকে মারধর ও জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় দায়িত্বরত আনসার সদস্য ও গেট অপারেটর বাঁধা দিলে তাদেরও মারধর করে। আবু হানিফকে জোরপূর্বক বটগাছের নিচে নিয়ে যায় এবং সেখানে লাঞ্চিত করেন।
ঘটনার দিন সাংবাদিকদের কাছে বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ মনির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সরদার নাহিয়ান আল সুলতান ওশান ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা বললেও, মামলার এজাহারে জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ এই দুই নেতার নাম উল্লেখ করেননি।
এদিকে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে অফিস থেকে তুলে নিয়ে মারধরের প্রতিবাদ সেই সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ইনস্টিটিউশন অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি একে এম এ হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুর রহমান।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২জনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ