কিষান বন্ধ দিয়ে টিকা নিতে আসছিলাম। সকাল থেকে ১২ টা পর্যন্ত দাড়িয়ে আছি, কিন্তু টিকা পাইনি। টিকা কেন্দ্রে (টিকা প্রদান কক্ষ) তালা মারা। কেউ কোন খোজ নিচ্ছে না। আমার মত শতশত মানুষ মাঠে দাড়িয়ে আছে। এই ভোগান্তির কোন মানে হয় না। টিকা দেবে না আগেই বলে দিলে পারত। বাগেরহাট সদর হাসপাতালের সামনে কয়েক ঘন্টা দাড়িয়ে থেকে টিকা না পেয়ে এভাবেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন বাগেরহাট সদর উপজেলার পাটরপাড়া এলাকার দিনমজুর শেখ আসাদ।
শুধু শেখ আসাদ নয়, সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাগেরহাট সদর হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রের সামনে প্রায় দুই শতাধিক নিবন্ধনকারীকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। টিকার মজুদ শেষ হওয়া স্বত্তেও নিবন্ধনকারীদের কেন অবহিত করা হয়নি, এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিবন্ধকারীরা।
গোবরদিয়া গ্রামের রোমিচা বেগম জানান পরিবারের চারজনের টিকা দেওয়ার তারিখ ছিল আজ। সবাইকে নিয়ে সাড়ে সাতটার সময় এসে লাইনে দাড়িয়েছি। কিন্তু ১২ টার সময়ও জানতে পারিনি টিকা নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের কেউ জানায়নি যে টিকা শেষ হয়ে গেছে। পরে বাইরের এক লোকের মাধ্যমে শুনতে পারলাম টিকা শেষ। তবে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল টিকাদান কেন্দ্রে টিকা শেষ হলেও অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা কাযক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।
বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বাগেরহাট সদর হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রের মজুদ গতকাল শেষ হয়েছে। পরবর্তীতে টিকা প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে আবারও যথারীতি টিককা দেওয়া শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, নিবন্ধনকারীরা যাতে টিকা নিতে এসে ফিরে না যায় এজন্য আমরা মাইকিং করে জানিয়ে দিব। টিকাদান কেন্দ্রের সামনে টিকা শেষ লেখা সম্বলিত ব্যানার দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
বাগেরহাট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাট জেলায় এ পর্যন্ত ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৪৫ জন টিকা নিয়েছেন। এদের প্রথম ডোজ নিয়েছেন এক লক্ষ ৫৪ হাজার ২৫৬ জন এবং ২য় ডোজ নিয়েছেন ৮১ হাজার ৪৮৯ জন।
খুলনা গেজেট/এএ