চার দিনেও খোজ মেলেনি বাগেরহাট সদর উপজেলার ভট্টকনকপুর সিদ্দিকা আমিনিয়া মদিনাতুল উলুম মাদারাসা থেকে নিখোজ শিক্ষার্থী মোঃ নাজমুল হাসান ইয়াছিন। সন্তানকে খুজে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নাজমুলের বাবা-মা। এ ঘটনায় শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নাজমুলের বাবা রামপাল উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের মোঃ শফিকুল ইসলাম বাগেরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
নিখোজ নাজমুলের বাবা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে মোঃ নাজমুল হাসান ইয়াছিন (১১) বাগেরহাট সদর উপজেলার ভট্টকনকপুর সিদ্দিকা আমিনিয়া মদিনাতুল উলুম মাদারাসায় আবাসিক থেকে হেফজ পড়ত। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সে কাউকে কিছু না বলে মাদারাসা থেকে বের হয়ে যায়।
বুধবার আমার স্ত্রী রোজিনা বেগম নাজমুলকে দেখতে মাদরাসায় যায়। নাজমুলকে না পেয়ে শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে, তারা জানান মোঃ নাজমুল হাসান ইয়াছিন কাউকে কিছু না বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদরাসা থেকে বেরিয়ে গেছে। আমি যেকোন মূল্যে আমার ছেলেকে ফিরে চাই এই বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শফিকুল ইসলাম।
ভট্টকনকপুর সিদ্দিকা আমিনিয়া মদিনাতুল উলুম মাদারাসার মুহাতামিম মাওলানা আলী আহমদ বলেন, মাদরাসার বাবুর্চীর একটি ভাঙ্গাচুরা বাইসাইকেল চালিয়ে মোঃ নাজমুল হাসান ইয়াছিন রাস্তায় যায়। পরে বাইসাইকেল ছাড়া একাই মাদরাসায় আসে। পরে জানতে পারি বাবুর্চীর বাইসাইকেলটি স্থানীয় একটি দোকানে দশ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে নাজমুল। মোঃ নাজমুল হাসান ইয়াছিনকে এই ধরণের কাজ যে অন্যায় তা বুঝিয়ে বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এর বেশি কিছু হয়নি নাজমুলের সাথে। আমাদের মাদরাসার কোন শিক্ষার্থী এখন পর্যন্ত মাদরাসা থেকে নিখোজ হয়নি। মাদরাসার পক্ষ থেকেও নাজমুলকে খোজা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাগেরহাট মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, মোঃ নাজমুল হাসান ইয়াছিন নামের এক মাদারাসা শিক্ষার্থী নিখোজের ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। আমরা বেতার বার্তা প্রদান করেছি। নিখোজ শিক্ষার্থীকে খুজে বের করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
খুলনা গেজেট/এএ