বাগেরহাটে ঈদুল আযহার দিনে অগ্নিকান্ডে ভস্মিভূত হয়েছে বসত ঘর। বুধবার দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া পূর্ব পাড়ায় দিনমজুর শেখ শওকতের বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। শর্টসার্কিট থেকে সূত্রপাত হওয়া আগুনে তার টিনশেড বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আগুনে শুধু তার ঘর-ই পোড়ায়নি কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি ও জমানো আড়াই লাখ টাকাও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন স্থানীয়রা। কিন্তু এর আগেই আসবাবপত্রসহ পুরো ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে এই সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে জানান স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শী নাহিদ আকুঞ্জী জানান, হঠাৎ শওকত ভাই’র টিনশেড কাঠের ঘরটিতে আগুন জ্বলতে দেখি। পাশের পুকুর থেকে বালতি ভরে পানি এনে আশপাশের লোকজন ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু এর আগেই পুরো ঘর পুড়ে যায়।
আগুন নেভানোর কাজে অংশগ্রহণ করা মোঃ রেজাউল হাওলাদার বলেন, পাশের বাড়িতে কোরবানীর গরুর গোস্ত কাটছিলাম। আগুন দেখে সবাই ছুটে আসি। অনেক চেষ্টা করেছি নেভানোর। ফায়ার সার্ভিস এর লোকেরাও এসে পানি দিয়েছে।
দিনমজুর শওকত বলেন, সারাদিন কাজ করে রাতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘরটিতে থাকতাম। কিন্তু আগুনে আমার ঘরটির সঙ্গে কপালও পুড়েছে। আমি একবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। নতুন করে একটি ঘর নির্মাণ করা আমার জন্য দুঃস্বপ্ন। এখন আমি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোথায় যাবো?
পুড়ে যাওয়া ভিটায় বসে ভবিষ্যৎ শঙ্কায় কাদতে থাকা শেখ শওকতের স্ত্রী শেফালী বেগম বলেন, আমার স্বামী, সন্তানেরা দিন-রাত পরিশ্রম করে এই ঘর বানাইছে। আমাদের পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছু নেই। গরু বিক্রির টাকা গুলোও পুড়ে শেষ। ব্যাংকে রাখার সুযোগ পাইনি। এখন আমি কই যাবো, কি খাবো বলে আবারও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, ঈদের দিনে এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমি তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া নিয়ম অনুযায়ী তাকে সরকারি সাহায্যেরও আশ্বাস দেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম