ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দুই কোটি জনসংখ্যার দেশটির অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ায় নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক সংকট। এসবের বিরুদ্ধে দেশটির জনগণ ফুঁসে উঠেছে।
অনেকেই শ্রীলঙ্কার এমন পরিস্থিতির কথা তুলনা করছেন বাংলাদেশের সঙ্গে। বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হওয়া বেশ কিছু বড় প্রকল্পে অর্থ দিয়েছে বিদেশি দাতা সংস্থাগুলো। ফলে বাংলাদেশও ঋণের ফাঁদে পড়ে শ্রীলঙ্কার দশা হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন।
এমন আশঙ্কার কথা একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা। কোনো দিক থেকেই বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার পথে যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ সরাসরি শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশে বসিয়ে রায় দেয়, এটা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা ইকোনমিক সাইন্সেও গ্রহণযোগ্য নয়, সামাজিক বিজ্ঞানেও গ্রহণযোগ্য নয়, দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থনীতি। দুইটা দেশের ফান্ডামেন্টাল সম্পূর্ণ ভিন্ন কিসিমের, দুইটার গতিবিধি ভিন্ন কিসিমের।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রকল্প ও প্রস্তুতি সে রকম নয়। আমরা শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারি না। তবে এটা নিয়ে গবেষকদের আলোচনা আমরা দেখছি, শুনছি এবং কেয়ারফুলি অবজার্ভ করছি। বাট, উই শুড বি কেয়ারফুল।’
তিনি বিষয়গুলোকে নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সকর্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সরাসরি ওই দেশের অবস্থার ট্রান্সলেট করে এখানে বসিয়ে দেয়া হবে, এটা ঠিক নয়। তাদের অবস্থা দেখে বলা হবে আমরাও সেই পথে যাচ্ছি, এটা কোনোভাবেই ঠিক নয়। আই ডোন্ট থিংক দেয়ার ইজ এ রিজন টু ডাউট।’
ঋণ ব্যবস্থা, প্রকল্প, কৃষি উৎপাদন, রিজার্ভ, রেমিট্যান্স সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার চেয়ে বেশ সফল এবং এগিয়ে। তাই বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হওয়ার কোনো আশঙ্কাই নেই বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।