আসন্ন হজে বাংলাদেশ থেকে মোট ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন যেতে পারবেন। বুধবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফলে দুই বছর পর বাংলাদেশীরা পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন।
সারাবিশ্ব থেকে প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ মানুষ পবিত্র হজ পালন করে থাকেন। এর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার মানুষের হজে যাওয়ার কোটা রয়েছে। কিন্ত করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর শুধুমাত্র সৌদি আরবে অবস্থানরত স্বল্প সংখ্যক মানুষকে হজ পালনের সুযোগ দেয়া হয়। তবে এবার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় মোট ১০ লাখ মানুষের হজ পালনের সুযোগ তৈরি করেছে সৌদি আরব। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যেতে পারবেন ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন।
জানা যায়, গত দুই বছর হজে না গেলেও প্রায় ৬০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান নিবন্ধন করে রাখেন। এর মধ্যে কিছু ব্যক্তি ইন্তেকাল করেছেন। আর কিছু সংখ্যক নিবন্ধন বাতিল করেছেন। বর্তমানে মোট ৫৪ হাজার ৪৮০ জন নিবন্ধিত রয়েছেন। এর মধ্যে বেসরকারিভাবে ৫১ হাজার ৮৭৬ জন এবং সরকারিভাবে নিবন্ধিত রয়েছেন দুই হাজার ৬০৪ জন। এছাড়া প্রাক নিবন্ধিত রয়েছেন আরো ২ লাখ ২ হাজার জনের বেশি। এর মধ্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আগে যারা নিবন্ধিত রয়েছেন তারায় এ বছর হজের জন্য অগ্রগণ্য হবেন। ফলে আগে থেকেই নিবন্ধতি থাকাদের সাথে আর অল্প কিছু ব্যক্তি নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন।
এদিকে হজ উপলক্ষে আগে থেকেই বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তুতি সভায় হজের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়। হজের সময় হজযাত্রীদের জন্য ওষুধসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম কিনতে ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।
এছাড়া সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় সফরে এলে তাকে সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশেই সম্পন্ন করার ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়। এছাড়া হজযাত্রী পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি থার্ড ক্যারিয়ার চালুর আহ্বান জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বিমান মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিয়েছে তারা।