তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে বিতর্কের জেরে ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানিতে সাধারণ নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই উপহার হিসেবে ইলিশ পাঠাত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। দুর্গাপূজা, পয়লা বৈশাখ ও জামাই ষষ্ঠীকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে ভারতে গেছে ইলিশ। দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করতে এই ইলিশ পাঠানো বেশ কার্যকর হয়েছে বলে করত সরকার। তবে, গণবিপ্লবের মুখে ওই সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দিল্লিতে পালিয়ে যাওয়ার পর এবারের দুর্গাপূজায় ইলিশ নাও পেতে পারে ভারত-এমন গুঞ্জন উঠেছে। এমন অবস্থায় ভারতের পক্ষ থেকে ইলিশ পাঠানোর আবদার করে বাংলাদেশের কাছে চিঠি পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ যায় ভারতে। তবে, এবার ইলিশ যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। এ অনিশ্চয়তার মধ্যেও কিছুটা আশার আলো দেখা গেছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ভারতের ফিস এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড ইমপোর্টার্স অ্য়াসোসিয়েশন ইলিশ রপ্তানির জন্য় আবেদন জানিয়েছে। প্রতিবারের রীতি মেনে ভারতে ইলিশ পাঠানোর জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে তারা।
জানা গেছে, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ২০১৯ সালে দুর্গাপূজার উপহার হিসেবে ভারতে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানি করেছিল শেখ হাসিনা সরকার। ২০২০ সালেও ইলিশ গেছে দেশটিতে। হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, গত বছরও এক হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ গিয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। তবে, এবার আবেদন করা হলেও কী পরিমাণ ইলিশ পাবে ভারত বা আদৌ পাবে কি না, তা এখনও নিশ্চত না।
খুলনা গেজেট/এএজে