ঢাকা টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে অনেকেরই ধারণা ছিল, খুব বেশি হলে আর এক দিন টিকবে এই ম্যাচ। কেউ কেউতো বলছিলেন, তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই ফলাফল চলে আসবে। কিন্তু সেসব ধারণাকে ভুল প্রামণ করলেন আইরিশ ব্যাটাররা। খাদের কিনারা থেকে একা হাতে দলকে টেনে তুললেন লরকান টাকার। তার তৈরী করে দেওয়া সেই শক্ত ভীতের ওপর দেয়াল বানালেন অ্যান্ডু ম্যাকব্রাইন। আর তাতে টেস্ট গড়াল চতুর্থ দিনে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯২ রানে অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য এখন ১৩৮ রানের। আর আইরিশদের জয়ের জন্য প্রয়োজন দশ উইকেট।
আগের দিনের ৮ উইকেটে ২৮৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। সকাল বেলা উইকেটে পেসারদের জন্য যে বাড়তি সুবিধা থাকে সেটা পুরোপুরি আদায় করেছেন এবাদত হোসেন। এদিন নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই উইকেটের দেখা পেয়েছেন এই পেসার।
ইনিংস হার এড়িয়ে আইরিশদের ম্যাচে ফেরানো অ্যান্ডু ম্যাকব্রাইন এবাদতের পোলার লেন্থের ডেলিভারীতে রীতিমতো চোখে সর্ষে ফুল দেখেছেন। ইনিংসের ১১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে তার স্টাম্প উপড়ে দিয়েছেন এবাদত। সাজঘরে ফেরার আগে গত দিনের রানের সঙ্গে যোগ করতে পেরেছেন কেবল ১ রান। শেষ পর্যন্ত ৮ চার আর এক ছক্কায় ১৫৬ বল খেলে ৭২ রান করেছেন তিনি।
এর তিন ওভার পর আবারও এবাদতের আক্রমণ। এবার এই পেসারের শিকার গ্রাহাম হিউম। ১১৬তম ওভারের শেষ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে গুড লেন্থে রেখেছিলেন এবাদত, সেখানে অফ সাইডে খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানা ছুয়ে বল চলে উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসে। হিউমকে ১৪ রানে ফিরিয়ে আইরিশদের কফিনে শেষ পেরেকটা মারেন এই পেসার। তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯২ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২১৪
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৬৯
আয়ারল্যান্ড ২য় ইনিংস: ২৯২/১০ (টাকার ১০৮, ম্যাকব্রেইন ৭২)
খুলনা গেজেট/এনএম