বাংলাদেশকে স্বল্প রানে আটকে দিয়েছে নেপালের বোলাররা। শুরু থেকেই নেপালের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে টাইগারদের একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
নেপালের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ কোনোরকমে পার করেছে শতরানের ল্যান্ডমার্ক। ৮৮ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর টাইগারদের দলীয় শতরান পার হয় তাসকিন আহমেদের ১২ রানের কল্যাণে। নির্ধারিত ২০ ওভারও খেলা হয়নি বাংলাদেশের। ১৯.৩ ওভারে টাইগারদের স্কোর ১০৬ রান।
এর আগে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নেপাল। সোমপাল কামির প্রথম ওভারেই ধাক্কা। প্রথম বলেই ফিরেছেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের শুরুতেই ডাউন দ্য উইকেটে চার্জ করে খেলতে চেয়েছিলেন। বিপদ বাড়লো তাতেই। সোমপালের গুড লেন্থের বলটায় ভালোভাবে সংযোগ হয়নি। ফিরতি ক্যাচ নিয়েছেন বোলার নিজেই।
সেই ওভারের শেষ বলেই বিপদে পড়তে পারতো বাংলাদেশ। এবার লিটন দাস মিস করলেন সোমপালের আউটসুইং ডেলিভারি। জোরালো আবেদনে সাড়াও দেন আম্পায়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লিটন।
পরের ওভারে আসেন দীপেন্দ্র সিং আইরে। আগের ম্যাচে ৪ উইকেট পাওয়া দীপেন্দ্র আজ ফিরিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। ব্যাট হাতে শান্তর বাজে ফর্ম চলল এই ম্যাচেও। ৫ বলে ৪ রান করে সাজঘরে তিনি।
টপঅর্ডারের ব্যর্থতা বিশ্বকাপের আগে থেকেই। লিটন দাসও ধরে রাখলেন ব্যর্থতার ধারা। সোমপাল কামির বলে বিগ শট খেলতে চেয়েছিলেন ১০ রান করা লিটন। কিন্তু সেটাও ঠিকঠাক হলো না। উইকেটরক্ষক আসিফ শেখের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন।
পাওয়ারপ্লে শেষের ঠিক আগে ফিরে যান তাওহীদ হৃদয়। তবু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুই চার মেরে বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু সাকিবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হলে বড় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
জাকের আলী ফিনিশার হিসেবে দলে জায়গা পেলেও হতাশ করেছেন আরেকবার। ২৬ বলে ১২ রান তার। যদিও সেটা দলের স্কোর ১০০ পর্যন্ত বড় ভূমিকাই রেখেছে। মাঝে ইনিংসের সর্বোচ্চ রান করা সাকিব ফেরেন ১৭ রানে।
রিশাদের ১ ছক্কা ও ১ চারে গড়া ১৩ রানের ইনিংস এবং তাসকিনের ১২ রান বাংলাদেশকে নিয়ে যায় ১০৬ পর্যন্ত।
খুলনা গেজেট/এমএম