খুলনা, বাংলাদেশ | ২১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এটিএম শামসুল হুদা মারা গেছেন
  গাজায় আরও ১৩৮ জনকে হত্যা করলো ইসরায়েল

বসন্ত ও ভালোবাসার দিন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ মঙ্গলবার বসন্ত বরণের দিন। একদিকে ঋতুরাজ বসন্তের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস, অন্যদিকে আজ ভালোবাসা দিবস। প্রকৃতির নিয়মেই এ সময় পাখিরা তাদের সঙ্গী খোঁজে, বাসা বাঁধে। নিরাভরণ বৃক্ষে কচি কিশলয় জেগে ওঠে। তীব্র সৌরভ ছড়িয়ে ফুল সৌন্দর্যবিভায় লাজুক আর ঢলঢলে হতে থাকে। শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা আর স্বামী-স্ত্রী নয়, সব সম্পর্কের মানুষই তাদের আত্মিক টানের প্রকাশ ঘটায় ভালবাসা দিবস পালন করে।

বিশেষ করে বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে নয়; বরং তা ছড়িয়ে পড়েছে বাবা-মা, ভাই-বোন, সন্তান, বন্ধু, আত্মীয়স্বজন, প্রিয় ব্যক্তিত্ব, এমনকি গাছপালার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে।

তাই তো ফাগুনের আগুন রাঙানো সকালের সূর্যের আলোয় আজ মিশে আছে নিভৃত হৃদয়ের বার্তা। আজ আকাশে-বাতাসে ভাসছে অনাদিকালের সেই আকুল আকাঙ্ক্ষা,

‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন/

খুঁজি তারে আমি আপনায়/আমি শুনি যেন তার চরণের ধ্বনি/

আমারি পিয়াসী বাসনায়।’

কবি নজরুলের এই আবেগমথিত অনুভূতি আজ কোটি কোটি মানুষের অনুভূতি। হৃদয়ের দশদিগন্তে আজ আলোর নাচন। যে আলোয় দুলে দুলে উঠছে আত্মার গহিনে লুকানো ভালোবাসার কথা। গোপন প্রিয়াকে আজ অকপটে বলা যায়, ‘ভালোবাসি, তোমাকেই ভালোবাসি।’ কেননা, আজ ভালোবাসার দিন, সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে।

‘ভালোবাসা’- মাত্র চারটি অক্ষরে এই শব্দের গভীরতা আর ব্যাপকতা সীমাহীন।

‘ভালোবাসা দিলে মা মরে যায়/যুদ্ধ আসে, ভালোবেসে/মায়ের ছেলেরা চলে যায়’- কী প্রগাঢ় শক্তি আর বিষাদ এই ভালোবাসার। গ্রিক পুরাণের হেক্টর মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও মনুষ্যত্বের প্রতি ভালোবাসার কারণে দাঁড়িয়ে ছিলেন দানবের মুখোমুখি। যুগে যুগে, কালে কালে ভালোবাসার টানে আকুল হয়েছে মানব-মানবী। অনাদিকাল থেকে হৃদয়ের প্রগাঢ় আকাঙ্ক্ষা আর মমতা দিয়ে পরস্পরকে কাছে টেনেছে তারা। আবেগমথিত কণ্ঠে একে অন্যকে বলেছে, ‘জানি শুধু তুমি আছ তাই আছি/তুমি প্রাণময় তাই আমি বাঁচি/যতো পাই তোমায় আরো ততো যাচি/যতো জানি ততো জানি নে।’

ভালোবাসা দিবস কবে থেকে, কীভাবে শুরু হয়েছে- ইতিহাসের পাতায় তা নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনী। এগুলোর মধ্যে বহুল প্রচলিত কাহিনীটি হচ্ছে, রোমান পাদ্রি সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনকে ক্রিশ্চিয়ান ধর্ম প্রচারের অভিযোগে ২৭০ সালে মৃত্যুদণ্ড দেন রোমের দ্বিতীয় ক্লডিয়াস। তিনি কারাগারে বন্দি থাকার সময় ছোট ছেলেমেয়েরা তাকে ভালোবাসার কথা জানিয়ে জানালা দিয়ে চিঠি ছুড়ে দিত। বন্দি সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন চিকিৎসা করে জেলারের মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন। এভাবে মেয়েটির সঙ্গে তার যোগাযোগ ঘটে। মারা যাওয়ার আগে মেয়েটিকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি জানান, ‘ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন।’ অনেকে মনে করেন, এই সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারেই প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ হিসেবে ঘোষণা করেন। আরও একজন ভ্যালেন্টাইনের নাম পাওয়া যায় ইতিহাসে। যুদ্ধের জন্য দক্ষ সৈনিক সংগ্রহের জন্য রোমান সম্রাট ক্লডিয়াস যুবকদের বিয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। কিন্তু তরুণ ভ্যালেন্টাইন নিয়ম ভঙ্গ করে প্রেম ও বিয়ে করেন। ফলে তার মৃত্যুদণ্ড হয়।

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!