বাগেরহাটের চিতলমারীতে দুই বাড়িতে হামলা, বসতবাড়ি ভাংচুর ও মারপিটের বিচারের দাবীতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় ভেন্নাবাড়ি মোড়ে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে হামলা ও ভাংচুরের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সুমন বালা, সুবোধ মন্ডল, ভোলা মন্ডল, অরুণ বালা, নোয়াব আলী, নিভা হালদার, চম্পা মন্ডল ও সন্ধ্যা বালা বলেন, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ী গ্রামের মৃত নগেন্দ্রনাথ বালার ছেলে গুরুদাস বালা একজন মুদি দোকানি। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সঞ্জিত বিশ্বাস, দিলীপ বিশ্বাস, সজিব বিশ্বাস, গোবিন্দ বিশ্বাসসহ ১০-১২ জনের একটি প্রভাবশালী চক্র বাকিতে মাল কেনার জন্য গুরুদাসকে চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। তাদের লেনদেন ভাল না থাকায় গুরুদাস বাকি দিতে অস্বীকার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৫ মে উক্ত ব্যক্তিরা গুরুদাসের দোকানে এসে চাঁদা দাবী করে। এ সময় গুরুদাস চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, ওই প্রভাবশালীরা গুরুদাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুটি বসতবাড়ি ভাংচুর করে। তাদের বাঁধা দিতে গেলে গুরুদাস বালা (৩০), তার মা পুষ্প বালা (৫৫) ও প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মুকুন্দ বিহারী বালা (৭৫) কে হামলাকারীরা পিটিয়ে আহত করে। আমরা আহতদের উদ্ধার করে চিতলমারী হাসপাতালে ভর্তি করি। এই ন্যাক্কারজন হামলা ও মারপিটের বিচার চাই।
ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা অস্বীকার করে সঞ্জিত বিশ্বাস বলেন, দিলীপ বিশ্বাস ও সজীব বিশ্বাসের সাথে গুরুদাস বালার পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে ইতোপূর্বে দুই দফা মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে।
চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা বলেন, আগের মারপিটের ঘটনায় আমরা স্থানীয় ভাবে মিমাংশা করে দিয়েছিলাম। এর দুই-তিন পরে আবারও মারপিটের ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জাম খান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমি মৌখিক ভাবে শুনেছি। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
খুলনা গেজেট/কেএম