গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সকল ধরনের ক্লাস পরিক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
শনিবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. সালেহ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা কর্তৃক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রশাসন যদি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নিম্নে উল্লেখিত বিষয়ের সমাধান না করে, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ১ অক্টোবর (রবিবার) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন।
তবে, শিক্ষক সমিতিকে এখনও যথাযথ কর্তৃপক্ষ কোন তথ্য জানায়নি। শিক্ষক সমিতি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তথ্য পাওয়ার পর কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিং করে বিস্তারিত জানাবে। কিন্তু নানান সূত্রমতে জানতে পেরেছে যে, শিক্ষকস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তেমন কোন আশাব্যাঞ্জক ফল হয় নি। এমতাবস্থায়, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পহেলা অক্টোবর থেকে বশেমুরবিপ্রবির সকল শিক্ষকমণ্ডলীদের সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা থেকে বিরত আহ্বান জানানো হয়।
শিক্ষক সমিতির দাবিসমূহ হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধনী ফলক (যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম অঙ্কিত ছিল এবং স্থানটি শেখ হাসিনা চত্বর নামে পরিচিত) ভেঙ্গে ফেলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আপগ্রেডেশন নীতিমালার অসামঞ্জস্যতা দূরীকরণ করতে হবে। ইংরেজী বিভাগের মোঃ মইনুল ইসলাম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোঃ ইব্রাহীম শেখ ও আইন বিভাগের মোঃ হুমায়ূন কবিরকে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে ভুতাপেক্ষভাবে আপগ্রেডেশন নিশ্চিত করতে হবে। আপগ্রেডেশন প্রাপ্যতার তারিখ থেকে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে আপগ্রেডেশন সম্পন্ন না হলে ৯৯ তম (একানব্বই) দিন থেকে আপগ্রেডেশন প্রাপ্যতার তারিখ বলে বিবেচিত করতে হবে। ২৭ ও ২৮ তম রিজেন্ট বোডে শিক্ষাছুটির বিপরীতে আপগ্রেডেশন প্রাপ্ত শিক্ষকবৃন্দকে ডিউডেট গণনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের আলোকে ডিউডেট সুবিধা প্রদান করতে হবে। পাশকৃত পারিতোষিক নীতিমালার সংশোধন পাশ করে সেই কপি বিভাগ সমূহে সরবরাহ করতে হবে।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জানান, শিক্ষক সমিতি সকল শিক্ষকদের প্রতিনিধি। শিক্ষকদের বৈধ দাবি দাওয়া নিয়েই তাদের এই কর্মসূচি।
খুলনা গেজেট/এনএম