যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চাপের মুখে পড়েছেন। তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে একে একে ২৭ জন পদত্যাগ করেছেন। খবর বিবিসি ও স্কাই নিউজের।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর থেকে পদত্যাগের হিড়িক ওঠে। একে একে মন্ত্রিসভার ২৭ জন সদস্য পদত্যাগ করলেও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টিকে থাকার বিষয়ে এখনো আত্মবিশ্বাসী। তাঁর প্রেস সেক্রেটারি বলেন, যারা পদত্যাগ করেছেন তাঁদের পদে অন্যদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
এর আগে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সাজিদ জাভিদ জানান, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সরকার পরিচালনা করছেন, তা তাঁরা সহ্য করতে পারছেন না।
বরিসের নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপি অ্যান্ড্রু ব্রিজেন বলেন, ‘হুইপবিষয়ক বিতর্ক সুনাক ও জাভিদের পদত্যাগে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে। বরিসের পদত্যাগের সময় এসেছে। অবশ্য তিনি চাইলে তাঁর মেয়াদ আরও খানিকটা সময় বাড়াতেই পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ও আমাদের দলীয় অনেক এমপিই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, আগামী গ্রীষ্মে দলীয় প্রধান নির্বাচনের আগেই তাঁকে সরে যেতে হবে। তিনি যত দ্রুত যাবেন তত মঙ্গল।’ এই পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ও ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলেছে, ‘বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রিত্ব হুমকির মুখে।’
এদিকে, মাত্র মাসখানেক আগে বরিস তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব অল্পের জন্য উতরে যান।
উল্লেখ্য, একের পর এক কেলেঙ্কারি এবং দলীয় নেতাদের বিদ্রোহের কারণে বেশ বিপাকেই পড়েছেন বরিস জনসন। তাঁর নিজ দল ছাড়াও বিরোধীদেরও তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি তিনি। বিরোধীদলীয় নেতা কিয়ের স্টার্মার বলেছেন, এটি এখন পরিষ্কার যে সরকারের পতন হতে যাচ্ছে। তবে সরকারের পতন বা পরিবর্তন কবে এবং কীভাবে হবে, তা জানার জন্য আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।
খুলনা গেজেট/এমএম