শুক্রবার ভোর থেকে বাগেরহাট জেলা সদর সহ সকল উপজেলার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে জনসাধারণ।
সকাল থেকে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়েনি কোন ধরনের যানবাহন। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সহ বিভিন্ন স্থানে পাহারা বসিয়েছে শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। শুধু বাগেরহাট-খুলনা নয় সকল রুটে যানবাহন আটকে দিচ্ছে।
সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন সমাজ সেবার নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা পরীক্ষার্থীরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কেউ পায়ে হেটে, কেউ ভ্যান বা ইজিবাইকে চড়ে চেষ্টা করছেন গন্তব্যে পৌঁছানোর।
নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে পিরোজপুর যাবেন রহিম নামের এক পরীক্ষার্থী। বড় ভাইয়ের সাথে বের হয়ে কোনো যানবাহন না পাওয়ায় হাটতে দেখা যায় তাকে। আক্ষেপ করে বলছিলেন সমাবেশ খুলনায় হলেও পিরোজপুর গামি পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। সময়মত কেন্দ্রেই হয়তো যেতে পারব না।
কুষ্টিয়া থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে আসা হাসান নামের এক ব্যক্তি বলেন, খুলনায় ভোর চারটার সময় পৌঁছালেও ভ্যানে চড়ে বাগেরহাট আসতে সময় লেগেছে প্রায় ৪ঘন্টা। বাসস্ট্যান্ডে এসে আর কিছু না পাওয়াতে অপেক্ষায় রয়েছি। বাড়ি যেতে পারব কিনা তাই নিয়ে সংশয়ে রয়েছি।
শরনখোলা উপজেলা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে খুলনায় চিকিৎসক এর কাছে যাচ্ছিলেন আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু পরিবহন না থাকায় বাধ্য হয়ে ফিরে গেছেন বাড়িতে।
উল্লেখ্য, ২২ অক্টোবর দুপুরে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে দুই দিন বাস চলাচল বন্ধ রাখলেও বাস মালিক সমিতি বলছে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিটিআরসির গাড়িগুলো চলাচল করছে। এ জন্য ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই