খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা গ্রামে হামলার শিকার কিশোরী ফুটবলার এবং গ্রামের অন্য কিশোরীদের আত্মরক্ষার কৌশল প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বুধবার বিকেল ৫টার দিকে তেতুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিসেফের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়। আপাতত চার দিন এই কার্যক্রম চলবে।
এদিন বিকেলে বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ‘তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমি’র খেলোয়াড় ছাড়াও গ্রামের শিশু কিশোরীরা মাঠে ভিড় করছেন। তাদের আত্মরক্ষার বিভিন্ন কৌশল শেখাচ্ছেন ব্লাক বেল্ট পাওয়া সানজিদা আকতার মৌমি। কিশোরীরা বেশ আগ্রহ নিয়ে কৌশলগুলো রপ্ত করছেন। প্রশিক্ষণে হামলার শিকার কিশোরী ফুটবলার সাদিয়া নাসরিন, মঙ্গলী বাগচি, হাজেরা খাতুন ও জুঁই মন্ডলসহ ১২০ জন কিশোরী উপস্থিত ছিলেন।
‘তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমি’র ক্যাপ্টেন রিতু বৈরাগী বলেন, ‘আমাদের ওপর হামলার পর সবাই আত্মরক্ষার কৌশল শেখার অপেক্ষায় ছিলেন। ইউনিসেফ উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা সবাই খুশি। খেলোয়াড় ছাড়াও গ্রামের অন্য কিশোরীরাও বেশ আগ্রহী নিয়ে এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এখন থেকে কেউ আমাদের হয়রানি করলে আমরাই প্রতিরোধ করবো।’
সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ কুমার মণ্ডল জানান, আপাতত চার দিন ধরে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। এই চার দিনে কিশোরীদের আত্মরক্ষার সাতটি কৌশল শেখানো হবে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর যুব ও ক্রীড়া সচিবের গ্রামে আসার কথা রয়েছে। সেখানে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।
প্রসঙ্গত, হাফপ্যান্ট ও জার্সি পরে ফুটবল খেলার কারণে ‘তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমি’র চার কিশোরী ফুটবলার সাদিয়া নাসরিন, মঙ্গলী বাগচি, হাজেরা খাতুন ও জুঁই মণ্ডলকে গত ২৯ জুলাই মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ৩০ জুলাই সাদিয়া নাসরিন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন। মামলা তুলে না নিলে তিন আসামি মেয়েদের মুখে এসিড মারার হুমকি দেয়। এরপর ৩১ জুলাই সাদিয়া বটিয়াঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এই মামলার আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।
খুলনা গেজেট/হিমালয়