বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাক্ষী আছেন, আবার ৭৫ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরের যে ইতিহাস সেই ইতিহাসের অনেকজন স্বাক্ষী আছেন, আবার এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আশির দশকে উত্থানপতনের সরাসরি স্বাক্ষী আপনারা সকলে আছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় বদলকারী ঘটনা। সেই ঘটনার অতীত আছে, তখনকার বর্তমান আছে এবং ১৫ আগষ্টের পরবর্তি ঘটনাবলি আছে। সব মিলিয়েই এই হত্যাকান্ডের মূল্যায়ন হওয়া দরকার। সেইজন্য আমি বারবার বলেছি আমরা যারা এই মুহুর্তে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছি ইতিহাসের দিকে তাকান। কিন্তু ইতিহাস নিয়ে চর্চাটা করতে গেলেই খন্ডিত চর্চা হবে, তাহলে ভুলভ্রান্তি হবে, বিভ্রান্তির জন্ম হবে। সুতরাং আমি বলেছি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের মত ঘটনা যে ঘটনার প্রত্যক্ষ জল্লাদ বাহিনীর বিচার আচার হয়েছে। তাদের সাজা কার্যকর হচ্ছে। এই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী এর পৃষ্টপোষক, সমর্থনকারী এই সবকিছু মিলিয়ে জাতিকে প্রকৃত একটা সামগ্রিক ধারণা দিতে হলে একটা জাতীয় তদন্ত কমিশন করা ও শ্বেতপত্র প্রকাশ করা দরকার।
জাতীয় তদন্ত কমিশন করা ও শ্বেতপত্র প্রকাশ করার বিষয়ে গুরুত্ব তুলে ধরে করে তিনি আরো বলেন, তদন্ত কমিশন ও শ্বেতপত্র জাতিকে সকল বিভ্রান্তির থেকে মুক্তিদেবে এবং খন্ডিত ইতিহাস চর্চার যে সমস্যা সংকট সেই সংকট থেকেও আমাদের বাঁচাবে। সুতরাং যার কাছে যে তথ্য আছে তা ওই তদন্ত কমিশনের কাছে পেশ করুন। এলোপাথাড়ি ও খন্ডিত বক্তব্য না দিয়ে অথবা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কোন কান্ড না ঘটিয়ে বরং সকল তথ্য নিয়ে তদন্ত কমিশনে হাজির হন এবং শ্বেতপত্র সঠিকভাবে প্রকাশে সাহায্য করুন।
শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময়ে জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মাসুদুর রহমান, জাসদের বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সবুজ চন্দ্র রায়, জাসদ ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নাঈম মল্লিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিকেলে তিনি জাসদ ছাত্রলীগের সাথে এক মত বিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই