দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২’ উৎক্ষেপণের জন্য রুশ প্রতিষ্ঠান গ্লাভ কসমসের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ। রাজধানীতে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির কার্যালয়ে বুধবার(৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এই সহযোগিতার স্মারক সই হয়।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ রাশিয়া সরকারের সহযোগিতায় নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছে।
‘আমরা তৃতীয় সাবমেরিন কেব্ল সংযোগ স্থাপনে ইতিমধ্যে কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি যা বাস্তবায়নে কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের তৃতীয় অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ নির্মাণ করা। এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে তার অভিযাত্রা আলোর মুখ দেখল।’
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও সুদৃঢ় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইট হবে আর্থ অবজারভেটরি ক্যাটাগরির স্যাটেলাইট। সাধারণত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করতে এ ধরনের স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয়।
বাংলাদেশ ২০১৮ সালের ১২ মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করে। এর মাধ্যমে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট ক্লাবে প্রবেশ করে দেশ। প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে খরচ হয় দুই হাজার ৯০২ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু-১ ছিল মূলত কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট। বাংলাদেশের জন্য এই স্যাটেলাইটটি তৈরি করেছিল ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান থ্যালাস এলিনিয়ার স্পেস।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সফলতার ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণের কার্যক্রম শুরু করে দেশ। গত বছরের জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২-এর ধরন নির্ধারণে ফ্রান্সের প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্সকে (পিডব্লিউসি) পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
সে সময় বিএসসিএলের সঙ্গে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার বা ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকার চুক্তি হয়। চুক্তির শর্ত ছিল তিন মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি স্যাটেলাইট সম্পর্কে তাদের মতামত দেবে।
আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
খুলনা গেজেট/ এস আই