খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যুতে আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ
  সিইসিসহ নতুন নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ
  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর দাবি খুলনা আ.লীগের

গে‌জেট ডেস্ক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি। সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যা মিশন সফল করতে খুনীরা তাঁর পরিবারকে ঘিরে নানা ধরনের অপপ্রচার করেছিলো। যাতে করে বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠে। আর হত্যাকারীদের কোন দোষ না হয়। খুনীরা পরিকল্পিতভাবে সেই ক্ষেত্র তৈরি করেছিলো। কিন্তু অপপ্রচার করে বাংলার মানুষকে সাময়িক বিভ্রান্ত করলেও জনগণ বুঝতে পেরে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। জনগণের রায়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। সরকার গঠন করে তিনি অবরুদ্ধ সংবিধান থেকে কালো আইন বাতিল করে যুদ্ধাপরাধী আর বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার করেন। এখন দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ গণতন্ত্র প্রবাহমান উন্নত বিশ্বের দ্বারপ্রান্তে। নেতৃবৃন্দ বলেন, তবে স্বাধীনতা বিরোধীদের অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র এখনও থেকে নেই। তাদের এ ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধ ভাবে মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, আওয়ামী লীগ নেতা মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, রফিকুর রহমান রিপন, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, খালেদীন রশিদী সুকর্ণ, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস আলম চাঁন ফারাজী, কাউন্সিলর জেড মাহমুদ ডন, শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শেখ মো. ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, কামরুল ইসলাম বাবলু, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, মোজাম্মেল হক হাওলদার, অধ্যা. রুনু ইকবাল বিথার, মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, কাউন্সিলর গাউসুল আজম, এস এম আকিল উদ্দিন, এ্যাড. ফারুক হোসেন, আব্দুল হাই পলাশ, বাবুল সরদার বাদল, ফেরদৌস হোসেন লাবু, শেখ আব্দুল আজিজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইযুব আলী, মঈনুল ইসলাম নাসিম, চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, জামিরুল হুদা জহর, চ. ম. মুজিবর রহমান, শেখ জাহিদুল হক, শেখ জাহিদুল ইসলাম, নুর ইসলাম, শেখ আবিদ উল্লাহ, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মো. শিহাব উদ্দিন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মো. আযম খান, শেখ এশারুল হক, শেখ মো. রুহুল আমিন, আব্দুল হালিম সরদার, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. ফয়েজুল ইসলাম টিটো, অহিদুল ইসলাম পলাশ, মুন্সি মো. সেলিম হোসেন, মীর মো. লিটন, মোতালেব মিয়া, মো. জাকির হোসেন, ইউসুফ আলী খান, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতালেব হোসেন, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, এ্যাড. শেখ শামীম আহমেদ পলাশ, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, রনজিত কুমার ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এস আসাদুজ্জামান রাসেল, আলাউদ্দিন আল আজাদ মিলন, এ্যাড. ইব্রাহিম খলিল ইমন, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, নাসরিন আক্তার, আইরিন আক্তার নিপা, নুরিনা রহমান বিউটি, নুর জাহান রুমি, কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান লিটন, কাউন্সিলর ইমাম হোসেন চৌধুরী ময়না, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম প্রিন্স, কাউন্সিলর জিয়াউল আহসান টিটু, এ্যাড. আব্দুল লতিফ, এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা, এ্যাড. এনামুল হক, এ্যাড. এম এম সাজ্জাদ আলী, মো. আমির হোসেন, হাবিবুর রহমান দুলাল, আলী আকবর মাতুব্বর, গোপাল চন্দ্র সাহা, মল্লিক নওশের আলী, আব্দুল ওহাব, কবির পাঠান, শওকত হোসেন, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, কাজী ইব্রাহিম মার্শাল, এ্যাড. আল আমিন উকিল, গোলাম হায়দার বুলবুল, জেসমিন সুলতানা শম্পা, আফরোজা জেসমিন বিথী, সাবিহা ইসলাম আঙ্গুরা, রেখা খানম, রোকেয়া রহমান, রেজওয়ানা প্রধান, এ্যাড. শাম্মী, মিতা বাগচি, মিসেস শাহাবুদ্দিন, ইখতিয়ার উদ্দিন মোল্লা, ছাত্রনেতা মাসুদ হাসান সোহান, বায়েজীদ সিনা, সংকর কুন্ডু, ওমর কামাল সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

স্মরণ সভার শুরুতেই বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে সকল শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভা শেষে মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ আব্দুর রহীম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করন, কালো পতাকা উত্তোলণ, কালো ব্যাজ ধারণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল সাড়ে ৯টায় মহানগর কার্যালয় সহ সকল ইউনিট কার্যালয়ে কোরান খানি, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার, বাদ জোহর প্রত্যেক মসজিদে দোয়া মাহফিল ও মন্দির, গীর্জা এবং প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা অনুরুপ কর্মসূচি পালন করেন।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!