শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাব্যবস্থায় শুধু পরিবর্তন নয়, একেবারে রূপান্তর যদি ঘটানো না যায়, তাহলে একুশ শতকের যত চ্যালেঞ্জ আছে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যত চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো মোকাবিলা করা যাবে না। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বের মত। বাংলাদেশের শিক্ষাবিদেরা বহু আগে মতটি দিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে সরকার কাজটি করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ২০২৩ সালের কার্যকরী কমিটির অভিষেক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এ এইচ এম আহসান উল্লাহ এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি পরীক্ষানির্ভর ছিল। সনদ পাওয়াটাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। এ জন্য শেখার পদ্ধতিতে একটা পরিবর্তন আনা দরকার ছিল। এখন আমরা সেই জায়গা থেকে বের করে এনেছি। আগে আমাদের শিক্ষকেরা পড়াতেন, আমরা তা মুখস্ত করতাম। কিন্তু কী শিখছি, তা কাজে লাগাতে পারিনি। এখন মূলত শিখনপদ্ধতির পরিবর্তন করা হচ্ছে। কাজেই আগের বিষয়গুলো ঠিক থাকবে, শুধু নতুন কিছু প্রযুক্তি আসবে, নতুন কিছু বিষয় আসবে, সেগুলো এখন পড়ে পড়ে শিখবে। প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে এখন বই পড়ে পড়ে শিখতে পারে। আমরা শুধু প্রাথমিক নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক, কারিগরি, মাদ্রাসা ও উচ্চশিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছি। সব কিছু মিলে আমাদের আনন্দময় শিক্ষাব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
এর সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি যুক্ত করেন, ‘এ বছর শিক্ষার্থীদের কাছে যে বইগুলো গেছে, সেগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ। সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের একটা অধ্যায়ে যে সমস্যা হয়েছে, আমরা সেটার সংশোধন আনছি। এই পরীক্ষামূলক বইয়ে কোনো ভুল বা কিছু নিয়ে আপত্তি থাকলে তা ঠিক করা হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটওয়ারী, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত প্রমুখ। সংবর্ধিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস