রাজধানীর গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে দেশের এক শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেয়েটির বোন এ মামলা দায়ের করেছেন।
মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের মেয়েটি ঢাকার একটি কলেজে পড়তেন। ২১ বছর বয়সী মুনিয়া গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। তার বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তার পরিবার সেখানেই থাকে। তার লাশ ‘সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায়’ পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মোসারাত জাহানের সম্পর্ক ছিল। তিনি মোসারাতের ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন বলেও আমরা জানতে পেরেছি। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মোসারাতের ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করেছে। রাতেই গুলশান থানায় মেয়েটির বোন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির সঙ্গে শীর্ষ ওই ব্যবসায়ীর সম্পর্ক দুই বছরের। ওই ব্যবসায়ী এক বছর মেয়েটিকে বনানীর একটি ফ্ল্যাটে রাখেন। গত মার্চে গুলশানের এই ফ্ল্যাটে ওঠেন মেয়েটি। ফ্ল্যাটের মাসিক ভাড়া এক লাখ টাকা। অগ্রিম দেয়া হয়েছে দুই লাখ টাকা। এরই মধ্যে দুই মাসের ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল একটি ইফতার পার্টি হয় এই বাসায়। ওই পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা নিয়ে মেয়েটির সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর মনোমালিন্য হয়। পরে মেয়েটি তার বোনকে ফোন করে বিপদের কথা জানান। এই ফোনের পর কুমিল্লা থেকে সোমবার বিকেলে ঢাকায় আসেন ওই তরুণীর বোন। গুলশানের ফ্ল্যাটটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান তিনি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শোবার ঘরে তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
খুলনা গেজেট/এনএম