আমাদের দেশে গরু পালন একটি লাভজনক পেশা। গরু পালন করে অনেক বেকার যুবক সফলতার মুখ দেখছেন। অনেকেই আবার গড়ে তুলেছেন বড় বড় গরুর খামার। গরু পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন সাতক্ষীরার কলারোয়ার বেকার যুবক আলতাফ হোসেন।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের যুগিখালী গ্রামের বড় মসজিদ সংলগ্ন এলাকার আলতাফ হোসেন নামের ২৮ বছরের এক যুবক ফ্রিজিয়ান গরু পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। প্রতিদিন ৭টি গরুতে দুধ হয় ৩৫ থেকে ৪০ লিটার পর্যন্ত। প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হয় ৩০ টাকা দরে। যুগিখালী গ্রামের বেলাল হোসেন ছেলে ২৮বছর বয়সের আলতাফ হোসেন। মাস্টার্স পর্যন্তু পড়াশোনা করেছেন। লেখা পড়া শেষ করে কোন চাকরি না হওয়ায় বেকার জীবন ঘোচাতে গরু পালন শুরু করেন তিনি। নিজ বাড়ীতে গরু খামার গড়ে তোলেন।
৫বছর আগে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে ৩টি গাভীসহ ৮টি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু ক্রয় করেন তিনি। দুই বছরের মাথায় গরুতে ৫টি বাছুরসহ ১৩টি গরুতে পরিনত হয়। বর্তমানে প্রতিদিন তিনি দুধ বিক্রি করে ১২শত টাকা আয় করেন। পরিবারের সকলেই খুশি আলতাফ হোসেনের উপর। আলতাফ হোসেনের সফলতা দেখে তার প্রতিবেশি অনেকেরই বাড়ীতে এক দুটি করে গরু পালন শুরু করেছেন।
আলতাফ বলেন, রহিমা এগ্রো ফার্ম তার মায়ের নামে এই গরুর খামার নাম রাখা হয়েছে। এই ফার্মে বর্তমানে ২৮টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু রয়েছে যার ওজন ১৬মণ হবে। দাম প্রায় ৬লাখ টাকার মতো। খামারে বর্তমানে ৪০ লাখ টাকার গরু আছে। খামারে আরও গরু পালনের জন্য ১৪ লাখ টাকার ঋণ দিয়েছেন। নিজ জমিতে লাগানো ঘাস, বিচালি, খৈল ও ভুষি খাওয়াচ্ছেন গরুগুলির। দেশীয় কায়দায় পালন হচ্ছে । তিনি এবার কোরবানির ঈদে ১৬টি গরু বিক্রি করতে চান।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমল কুমার সরকার বলেন, এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এ উপজেলার মানুষ শুধু গরু পালন করেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এতে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ অফিস গরু ও ছাগল পালনে ফ্রিতে ঘাস চাষের জন্য কাটিং দিচ্ছে। সেই সাথে রোগ বালাই এর পরামর্শ ও চিকিৎসা দিচ্ছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই