ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমির মাওলানা মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই এর সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর এর নেতৃবৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা করেন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় খুলনা জামিয়া রশিদিয়া গোয়ালখালী অডিটোরিয়ামে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ, সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, আলহাজ্ব আবু তাহের, হাফেজ আব্দুল লতিফ, সেক্রেটারী মুফতী ইমরান হুসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, উপদেষ্টা আবু মোহাম্মদ বেলাল, মো. আবু গালিব, অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি মো. ইমরান হোসেন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম কাবির, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান সৈকত, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী ইসহাক ফরীদি, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক গাজী ফেরদাউস সুমন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন ভূঁইয়া, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. কামাল হোসেন, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক কারী মো. জামাল উদ্দিন, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা নাসিম উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযুদ্ধা জিএম কিবরিয়া, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক বন্দ সরোয়ার হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মারুফ হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, সহ প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতী আমানুল্লাহ, সহ দপ্তর সম্পাদক এইচ এম আরিফুর রহমান, সহ অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক গাজী মিজানুর রহমান, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন, সদস্য আমজাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম টুটুল মোড়ল, মো. শহিদুল ইসলাম সজিব, মো. কবির হোসেন হাওলাদার, আবুল কাশেম, মো. বাদশাহ খান, মো. মিরাজ মহাজনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, যাতে আওয়ামী লীগ পুনরায় পুনর্বাসন না হতে পারে।
আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেছেন, রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। এখনই ফ্যাসিবাদী দলকে পুনর্বাসন করার অপচেষ্টা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।
চরমোনাই পীর বলেন, বিচারের আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ও আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের আলাপ অনৈতিক। এই ধরনের আলাপ-আলোচনা দেশ ও জনগণের স্বার্থবিরোধী। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ যে অপরাধ করেছে তার দায় কেবল ব্যক্তি ও ব্যক্তিদের ওপরে চাপিয়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে দায়মুক্তি দেওয়া হবে এবং এর মাধ্যমে গণ–অভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। আর কোনো ফ্যাসিবাদ যাতে জন্মাতে না পারে, সেজন্য দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
চরমোনাই পীর আরও বলেন, নববর্ষের দিন মানুষ শালীনতা ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সমর্থিত পন্থায় নানা আয়োজন করতেই পারে। কিন্তু সেইদিন কোনো যাত্রা করলে তাতে ‘মঙ্গল’ হবে এমন বিশ্বাস করলে বা ধারণা করলে পরিষ্কারভাবে তা গুনাহের দিকে নিয়ে যাবে। তাই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে কোনো কিছু অবশ্যই করা যাবে না। ‘মঙ্গল’ শব্দ ও ধারণা অবশ্যই বাদ দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে ‘হাতপাখা’কে জয়ী করতে দায়িত্বশীলদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে প্রতিটা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পাড়ায় মহল্লায় হাতপাখার গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে।
খুলনা গেজেট/জেএম