খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মার্কিন শ্রম প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে আজ

ফেসবুক-টিকটক আসক্তি নিয়ে গবেষণা, নতুন আইনের প্রস্তাব

আইটি ডেস্ক

ফেসবুক, টুইটার ও টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তরুণদের আসক্তির কারণ নিয়ে গবেষণায় নামবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন ও ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস।

বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহারকারীদের আসক্তি মোকাবিলায় এরই মধ্যে নতুন বিল উত্থাপন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই সিনেটর। ডেমোক্রেটিক পার্টির সিনেটর এমি ক্লোবুচার ও রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর সিনথিয়া লুমিস গতকাল বিলটি উপস্থাপন করেছেন। খবর রয়টার্স।

ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন ও ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নতুন নীতিমালা তৈরি করবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি)। নীতিমালা না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে সোস্যাল প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে।

বিবৃতিতে ক্লোবুচার বলেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্লাটফর্মগুলো মুনাফাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তারা ব্যবহারকারীদের ধরে রাখতে বিপজ্জনক কনটেন্ট দেখায় এবং ভুয়া তথ্য ছড়ায়। ওই সমস্যাগুলো নিয়েই এখানে কাজ করা হবে।

গত বছর ১১ বছর বয়সী এক মার্কিন কিশোরীর আত্মহত্যার পেছনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা ছিল বলে জানা গেছে। যার ফলে ওই কিশোরীর মা মেটা ও স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে মামলাও করেন।

গত বছর প্রযুক্তি সেবার বাজারে আলোড়ন তুলেছিলেন ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁসকারী সাবেক কর্মী ফ্রান্সিস হাউগেন। হাউগেনের ফাঁস করা নথিপত্র থেকে উঠে আসে কিশোর বয়সীদের ওপর ইনস্টাগ্রামের বিরূপ প্রভাবের বিষয়ে জানা থাকলেও মুনাফার লোভে বিষয়টি চেপে গেছে ফেসবুক।

পরবর্তী সময়ে সিনেট শুনানিতে হাজির হয়ে হাউগেন সাক্ষ্য দেন, করোনাভাইরাস এবং এর টিকা সম্পর্কে বিপজ্জনক ভুয়া তথ্য প্রচারের সুযোগ দিচ্ছে সোস্যাল জায়ান্টটি। ফেসবুকের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড আর মেনে নিতে না পেরে গত বছর প্রতিষ্ঠানটির চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন ফ্রান্সিস হাউগেন। তবে চাকরি ছাড়ার আগে কপি করে নিয়েছিলেন ফেসবুকের বেশকিছু অভ্যন্তরীণ নথিপত্র।

প্রাপ্ত ফলাফল এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক তখন দাবি তোলে, ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে তাদের গবেষণার ফলাফল; গুরুত্ব পায়নি ইনস্টাগ্রামের ইতিবাচক প্রভাবের বিষয়টি। এর কয়েক দিন বাদে সিনেটে সাক্ষ্য দেয়ার সময়েও একই বক্তব্য দিয়েছেন ফেসবুকের নিরাপত্তাবিষয়ক বৈশ্বিক প্রধান অ্যান্টিগন ডেভিস।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!