খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরে কারখানায় আগুন : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
  হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম তদন্তে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫

ফেসবুকে প্রেম মোবাইলে বিয়ের তিন মাস পর আত্মহত্যা

গেজেট ডেস্ক

মহম্মদপুরের মালয়েশিয়া প্রবাসী আলী হাসানের সঙ্গে ফেসবুকে প্রেম তারপর মোবাইলে বিয়ে করেন ফাতেমা খাতুন (২০) নামে এক তরুণী। বিয়ের মাত্র চার মাস পার হতে না হতেই ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন।

রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের যশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ফাতেমা উপজেলার যশপুর গ্রামের জিয়াউর সরদারের ছেলে আলী হাসানের স্ত্রী এবং ঢাকার আমিনবাজার এলাকার নবীর হোসেনের মেয়ে।

জানা যায়, ফাতেমার চার মাস আগে মালয়েশিয়া প্রবাসী যশপুর গ্রামের আলী হাসানের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের পরিচয় হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। দীর্ঘদিন মোবাইলে কথা বলে তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কাজি তাদের বিবাহ সম্পূর্ণ করেন মোবাইলের মাধ্যমে। বিয়ের এক মাস পরেই বোন এবং দুলাভাইকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে চলে আসেন। তারপর শ্বশুর এবং শাশুড়ির সঙ্গে মিলেমিশে সংসার করছিলেন। ফাতেমাকেও তারা মেয়ের মতোই ভালোবাসতেন।

ফাতেমার স্বামী আলী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রোববার সকালে ফাতেমার মা হঠাৎ অসুস্থ হয়। ফাতেমাকে ফোন করে তার বাবা বাড়িতে যেতে বলেন। পরে তার মাকে দেখতে যেতে চাইলে বাড়িতে কাজ থাকায় পরের দিন যাওয়ার কথা বলা হয়। এ বিষয়টি নিয়ে আলী হাসানের সঙ্গে মনোমালিন্য ও কথা কাটাকাটি হলে ফোন কেটে দেয়। পরে তার বেডরুমের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে নিজের ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস নেয়। ফাঁস নেওয়ার পর গোঙানির শব্দ শুনে শ্বশুর ও শাশুড়ি এগিয়ে গেলে দরজা বন্ধ পান। পরে স্থানীয়রা দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মহম্মদপুর থানার ওসি বোরহান উল ইসলাম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।

খুলনা গেজেট/ এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!