আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিয়ানমার। রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে চলছে মিয়ানমার জান্তা পুলিশের তীব্র সংঘর্ষ। এরইমধ্যে একটি পুলিশ ফাঁড়ি দখলে নিয়ে ১৯ পুলিশ সদস্য নিহত করেছে দেশটির বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি—এমনটা দাবি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মিয়ানমার ভিত্তিক গণমাধ্যম ইরাবতি নিউজ। সেখানে বলা হয়েছে—বিদ্রোহীদের নির্মূলে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে সামরিক সরকার।
মিয়ানমার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর জানায়, ১৯ পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র আরাকান আর্মি। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের মংডুর গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ ফাঁড়ি দখল নিয়েছে তারা।
প্রতিবেদন বলছেন, পুলিশ ফাঁড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় আরাকান আর্মি। এসময় তারা ফাঁড়ি দখলে নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করে নেয়।
জবাবে সীমান্ত এলাকায় বিমান এবং স্থল হামলা অব্যাহত রেখেছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। জঙ্গি বিমান ও হেলিকপ্টার থেকে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে। আরকান আর্মির দখলে যাওয়া ফাঁড়িটি পুনরুদ্ধারে সেনা সদস্য এবং কামানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বোমা হামলার ফলে স্থানীয়দের ঘর-বাড়িতে কম্পন সৃষ্টি হচ্ছে।
গত ২ আগস্ট থেকে সীমান্ত এলাকায় হামলা জোরদার শুরু করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরকান আর্মি। এরপর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছে অঞ্চলটিতে। সীমান্ত এলাকার অন্তত ছয়টি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় আরাকান আর্মি।
জবাবে বিমান ও হেলকিপ্টার নিয়ে প্রতিদিন তিনশ থেকে চারশ মর্টারশেল নিক্ষেপ করছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। আতঙ্কে রাখাইনের মংডু থেকে পালিয়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন বাসিন্দারা।
এছাড়া মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ প্রদেশে গত ১৫ মাসে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে তুমুল সংঘর্ষে দেশটির সামরিক বাহিনীর অন্তত এক হাজার ৬০০ সৈন্য নিহত হয়েছেন। একই সময়ে দেড়শর বেশি প্রতিরোধ যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন। থাইল্যান্ড-ভিত্তিক মিয়ানমারের স্থানীয় দৈনিক দ্য ইরাবতির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।