বাংলাদেশের ২৩ যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। এ ঘটনার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ফেরত দেয়া হয়নি বাংলাদেশিদের।
সোমবার রাতে ফেনীর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ৯৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন পূর্ব ছাগলনাইয়া এলাকা থেকে ওই বাংলাদেশি যুবকদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএসফ।
তারা হলেন- জেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের সাইমুম হোসেন, রাইসুল ইসলাম, সামিন, হারুন, লিটন ও মাঈন উদ্দিন; রাধানগর এলাকার মহসিন, কাজী রিপন, তাজুল ইসলাম সাকিল, হানিফ, আবুল হাসান, ইমরান, রুবেল, জাফর ইমাম মজুমদার, ওবায়দুল হক, জামাল উদ্দিন, আরিফ হোসেন ও করিম; ছাগলনাইয়ার মটুয়া এলাকার খোরশেদ, আজাদ হোসেন, মাহিম, হারুন ও ইমাম হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে পূর্ব ছাগলনাইয়া এলাকায় এক ব্যক্তিকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যাওয়ার গুঞ্জন শুনে স্থানীয়রা খবর নিতে সেখানে ছুটে যান। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া শুরু করে। তাদের ধাওয়ার মুখে অনেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও সেখান থেকে ২৩ জনকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।
ফেনী-৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, ‘এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিএসএফ দাবি করে যে চোরাকারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৩ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, বৈঠকে আটক বাংলাদেশিদের একটি তালিকা তাদের পক্ষ থেকে বিজিবিকে সরবরাহ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে আমরাও প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করব।’