আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ ও বিএনপির সংঘর্ষে বিজয় দিবসে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও বাজিতপুর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পাকুন্দিয়ায় বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এবং বাজিতপুর উপজেলায় বিজয় শোভাযাত্রার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে হয়।
এ সময় পাকুন্দিয়ায় বাসে অগ্নিসংযোগ এবং বাজিতপুরে পৌর বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের অন্তত ৫০-৫২ নেতাকর্মী এবং বাজিতপুরে ১৫ জন আহত হয় বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দাবি করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে এবং অতিরিক্ত পুলিশ তলব করে।
পুলিশ, এলাকাবাসীসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান এমপি পুলিশের সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ ও সাবেক এমপি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত থেমে থেমে স্থায়ী এ সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধা ও গণমাধ্যম কর্মীসহ অন্তত ৫০-৫৫ নেতাকর্মী আহত হয়। এ সময় উপজেলা সদরের মির্জাপুর সড়কে একটি যাত্রীবাহী বাসেও আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
এ সময় পুলিশ পুলিশ টিয়ার গ্যাস সেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনা স্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
অপরদিকে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা সদরে বিজয় শোভাযাত্রার সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত লোকজন পৌর বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের তাণ্ডব চালায়। বর্তমানে পাকুন্দিয়া ও বাজিতপুর পৌর সদরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সারোয়ার জাহান এবং বাজিতপুর থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম দাবি করেন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই