যশোরের দাউদ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমরুল হাসান রাহুল নিখোঁজের ১৫ দিন পর উদ্ধার করেছে পিবিআই যশোরের সদস্যরা। উদ্ধারের পর জানিয়েছে সে মুলত আত্মগোপনে ছিলো। ইমরুল যশোর সদর উপজেলার ক্ষিতিবদিয়া গ্রামের সেনাবাহিনীর অবসারপ্রাপ্ত সার্জেন্ট খলিলুর রহমানের ছেলে।
১৪ নভেম্বর স্কুলে গিয়ে সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। এ ঘটনায় ইমরুলের বাবা কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। একই সাথে তিনি পিবিআই এর শরণাপন্ন হন। পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে এসআই জিয়াউর রহমান, স্নোসিস দাশ ও এসআই ডিএম নূর জামাল হোসেনকে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। এরপর যশোর ও খুলনা জেলায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর গ্রাম থেকে উদ্ধার ইমরুল হাসান রাহুলকে উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই সূত্র জানায়, ইমরুল দাউদ পাবলিক স্কুলের ক্লাস মনিটর ছিল। তার ক্লাসের এক শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে স্কুলে আসে। ফোন নিয়ে স্কুলে আসা নিষেধ থাকায় বিষয়টির প্রতিবাদ জানায় ইমরুল। এসময় একটি পক্ষ তাকে শাশায় ও স্কুল ছাড়ার হুমকি দেয়। সেই অভিমানে ইমরুল স্কুল থেকে সাইকেল নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। প্রথমে সে অভয়নগরে যায়। সেখানে একটি হোটেলে কাজ শুরু করে। এরপর ফুলতলায় যেয়ে একটি নাসার্রিতে কাজ নেয়। সেখানে একজনের মোবাইল ফোন নিয়ে নিজের ফেসবুক লগইন করে। ওই লগইনের পরই পিবিআই লোকশন শনাক্ত করতে পারে। এরপর ফোনের আইএমই ট্রাকিং করে ইমরুলকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।