ফুলতলা থানার প্রতারণা ও চুরি ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় ৩ আসামীকে আটক করে মঙ্গলবার জেল হাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো বাঘারপাড়ার দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মোল্যার পুত্র মেহেদী হাসান হৃদয় (২০), ফুলতলার দামোদর ভুঁইয়া পাড়ার কামরুজ্জামান নান্নুর পুত্র খায়রুজ্জামান সবুজ (২৯) এবং দামোদর মল্লিকপাড়ার মোঃ শফিউদ্দিন মেহেদীর পুত্র আব্দুর রহিম মেহেদী (৪৩)।
ওসি মাহাতাব উদ্দিন জানান, সোমবার দুপুরে থানার পার্শ্ববর্তী একটি তেল পাম্পে থেমে থাকা পিকআপ থেকে দুটি ব্যাটারী চুরি হয়। পরে ফুলতলার জামিরা সড়কের আল হেরা সাইকেল ষ্টোরে চুরিকৃত ঐ ব্যাটারী বিক্রিকালে এলাকাবাসী মেহেদী হাসান হৃদয়কে ব্যাটারীসহ হাতেনাতে ধরে ফেলে। এ সময় সাথে থাকা অপর চোর ডুমুরিয়ার মিক্সিমিল গ্রামের ওয়াজেদ আলী ভুঁইয়ার পুত্র জাহিদুল ইসলাম ভুইয়া (৪০) পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে পিকআপ চালক আলকা গ্রামের সাখাওয়াত খানের পুত্র রাশেদ খান বাদি হয়ে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, বাঘারপাড়ার দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর গ্রামের মেহেদী হাসান হৃদয় ফুলতলায় পিকআপের ব্যাটারী চুরি করতে গিয়ে আটক রয়েছে। তাকে ছাড়াতে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে তার পিতা আব্দুল কুদ্দুস মোল্যার কাছে মোবাইল করা হয়। আটক পুত্রের মুক্তির জন্য আব্দুল কুদ্দুস মোল্যা ফুলতলা বাজারের হাজী মার্কেটস্থ থ্রিজি টেলিকমের বিকাশ নম্বরে টাকা প্রদান করেন। বিকাশে প্রেরণকৃত সাড়ে ৯ হাজার টাকা ফুলতলার দামোদর ভুঁইয়া পাড়ার কামরুজ্জামান নান্নুর পুত্র খায়রুজ্জামান সবুজ (২৯) এবং দামোদর মল্লিকপাড়ার মোঃ শফিউদ্দিন মেহেদীর পুত্র আব্দুর রহিম মেহেদী (৪৩) উত্তোলন করে। এ ব্যাপারে হৃদয়ের পিতা আব্দুল কুদ্দুস মোল্যা বাদি হয়ে খায়রুজ্জামান সবুজ ও আব্দুর রহিম মেহেদীসহ অজ্ঞাত আরও ২ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ প্রতারণা মামলার আসামী সবুজ ও আব্দুর রহিমকে আটক করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বিকাশে পাওয়া টাকার মধ্য থেকে পুলিশ ২ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
আটককৃত আসামীদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন